নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের ১ হাজার ৩৩টি স্কুলের মধ্যে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে ৭৪০টি। এছাড়াও অনেক স্কুল টেকসই নয়। এসব স্কুলকে টেকসই করতে খুব শিগগিরই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্কুল-কলেজের টেবিলগুলো টেকসই করতে হবে, যাতে ভূমিকম্পে সেগুলোকে কাজে লাগানো যায়। শিক্ষার্থীরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টেবিলগুলো কেমন হবে, তার একটি বর্ণনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও স্কুলে সেটির প্রতিফলন দেখতে পাইনি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি)’তে ‘ভূমিকম্প সচেতনতা সৃষ্টি ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় চুয়েটের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক ভবনের নিচ তলার পিলার ভেঙে সমান করে ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুল তৈরি হচ্ছে। যেগুলো ভূমিকম্পে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। শিক্ষক-অভিভাবকরা সচেতন হলে ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে যে বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে সেগুলো ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে। তাই আমাদের আগে থেকে সতর্ক হতে হবে। সেখানকার প্রত্যেকটি বিল্ডিং দেখে দেখে ঠিক করতে হবে। সেই সঙ্গে টেকসই ভবন নির্মাণ করতে হবে। বিল্ডিং কোড ফলো করতে হবে। নির্মাণ রীতি অনুসরণ করতে হবে।
চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকার রাস্তাগুলো অনেক ছোট। ভূমিকম্পে কোনও ভবন হেলে পড়লে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারবে না। নগরের প্রত্যেকটা দফতরকে একযোগে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হতে হবে। কোনও ভবন অনুমোদন দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয় না। ভবনটির কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তদারকি করতে হবে। এখন ৫ তলা ভবন অনুমোদন নিয়ে ৮ তলা ভবন নির্মাণ করে। সেদিকে আর কোনও খবর থাকে না। ভূমিকম্প হলে সেগুলো মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে।
গ্রামের বাড়িগুলোর নির্মাণের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িগুলো তৈরিতেও সতর্ক থাকতে হবে। মাটির দেওয়াল নির্মাণের সময় দুইপাশে বাঁশ দিতে হবে।দেওয়ালের মাঝখানে বাঁশ দিতে হবে। যাতে ভূমিকম্পে দেওয়াল ধসে পড়লেও টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এতে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি কমবে। তবে, আগের বিল্ডিংয়ের চেয়ে নতুন যে বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে সেগুলো ঝুঁকিতে। কারণ এখন সবকিছুতে ভেজাল। কম দিয়ে অধিক লাভ করতে চাই।
এ মুহূর্তের সংবাদ