নগরে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন আগামী বছরে

মেয়রকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় শিশুপার্ক নির্মাণ হয়েছে : মেয়র

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী বছরের মধ্যে নগরীতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের ফলে পরিচ্ছন্নতায় একটি নতুনমাত্রা যোগ হবে।
গতকাল সঙ্গে নগরীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।

সাক্ষাতকালে মেয়র চট্টগ্রামের উন্নয়নে সহযোগিতা চাইলে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নগরী, যার পরিধি এখন আরো বড় হচ্ছে। মিরসরাইতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জোন, ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিকে অত্যাধুনিক তেল শোধানাগারে রূপান্তর, বে-টার্মিনাল, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক হাব। সরকার এসব বিষয় মাথায় রেখে চট্টগ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার সরবরাহের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মন্ত্রীর কাছ থেকে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে অবগত হয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী সাগরবেষ্টিত এক অনন্য নগর।

বিভিন্ন কারণে এখন আগের সেই রূপ নেই, এমনকি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো যা উন্মুক্ত ছিল সাধারণ জনগণের জন্য সেগুলো এখন বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে ৭১ এর ২৫ মার্চের কালো রাতের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শিশু নারীদের যে হত্যাযজ্ঞ চলেছিল এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করার পর যে স্থান থেকে প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল সেই স্থানটিও আজ উন্মুক্ত নেই। সেখানে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় শিশুপার্ক নির্মাণ হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধ্বংস করারই নামান্তর। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষা ও ভবিষ্যত প্রজন্মের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরী তার চিরচেনা রূপ আবার ফিরে পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী (বাবুল), বিজিএমই’র পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি