নিজস্ব প্রতিবেদক »
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা ও অযত্নে পড়ে আছে নগরীর ৪১ টি ওর্য়াডের সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলো। জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নগরীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে খালগুলো পুনরায় খনন ও পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। শিগগিরই পরিষ্কার অভিযান চালানো হবে বলে মন্তব্য করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে পাওয়ার চায়না হারবার লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।
সভায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ম্যানেজার রেন হাও ও ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন।
মেয়র বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা আজকের নতুন না। এ সমস্যা বহুদিনের। এটি সমাধানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রযুক্তিগত ও কাঠামোগত সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার চায়না হারবার লিমিটেডের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এই সমস্যা সমাধানে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। খালগুলোতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা এবং পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা কার্যকর রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার অভিযান চালানো হবে।’
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএর উদ্যোগে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেখানে ৫৭টি খাল থেকে কাজের জন্য ৩৬টি খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো ২১টি খাল অবহেলিত রয়ে গেছে। এই ২১টি খালকেও উদ্ধার করতে হবে। জলাবদ্ধতার সমস্যা কোনো একক সংস্থা সমাধান করতে পারবে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), ওয়াসা এবং অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
এ সময় নগরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল ও কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন চসিক মেয়র।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরীসহ কর্মকর্তারা।