নিজস্ব প্রতিবেদক »
বন্দরনগরীতে হঠাৎ চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি ঘরে ঘরে মিলছে রোগী। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাশ করতে পারছে না। চাকরিজীবীদেরও কর্মস্থলে যেতে কষ্ট হচ্ছে।
আগ্রাবাদের ‘চোখ ওঠা’ রোগী রুমি শীল বলেন, টিউশনি করতে গিয়ে দেখি শিক্ষার্থীদের পরিবারের সবাই ‘চোখ উঠা’ রোগী। সারাদিন চোখ ভালো ছিল, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চোখ লাল হয়ে ফুলে যায়, সারাক্ষণ পানি ঝরে, হালকা জ্বর আসে। হাসপাতালে ‘চোখ ওঠা’ রোগীর ভিড়। আমার বাসার আশেপাশেও এরকম অনেক রোগী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলেন, ‘চোখ ওঠা’ (কনজাঙ্কটিভাইটিস) হচ্ছে চোখের ভাইরাস জনিত ইনফেকশন। সাধারণত প্রচলিত কথা ‘চোখ ওঠা’ বলতে চোখ লাল হওয়া বুঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে। যেমন-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, এডিনোভাইরাসজনিত কারণ ইত্যাদি। তবে ভাইরাস কেরাইটিস বা হারপেম সিমপেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশনই মূলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে চোখ উঠলে ভয়ের কিছু নেই। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে ‘চোখ ওঠা’ আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের চক্ষু বিভাগীয় প্রধান তনুজা তানজিন বলেন, এ ধরনের রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে হাসপাতালে। চমেকের চক্ষু বিভাগের আউটডোরে প্রতিদিন দেড় শতাধিক রোগীর লাইন থাকে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালেও ১০ থেকে ১৫ জন রোগীকে আমরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। অনেকে মনে করে রোগীর চোখের দিকে তাকালে এ রোগ ছড়ায়। এটি ভুল ধারণা।
প্রতিকার হিসেবে তিনি বলেন, যতœ নিতে হবে রোগীকে। যার এ রোগ হয়েছে তাকে বার বার হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। একিই সাথে রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকেও তা করতে হবে। আবার রোগীর ব্যবহৃত রুমাল-বালিশ, কাপড় চোপড় পরিধান থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর টানা ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সেরে না উঠলে ডাক্তারের পরার্মশ নিতে হবে।