সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি নগরীতে বাড়ছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। একটু সচেতন হলে পরে এই দুর্ঘটনাগুলো কমানো যেতো।
জামালখানে পুরানো ভবন ভাঙতে গিয়ে ধসের ঘটনায় গত পরশু দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই দিনে নগরীর আন্দরকিল্লা ও চান্দগাঁও এলাকায় পৃথক দুইটি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে এবং মারা গেছে একজন। সুপ্রভাতের প্রতিবেদন থেকে দুর্ঘটনাগুলোর খবর জানা যায়।
বেশ কিছুদিন ধরে একটি পরিত্যক্ত ভবন ভাঙার কাজ চলছিল। মাঝখানে কয়েকদিন বন্ধও ছিল। আগে বাঁশ দিয়ে নেট টাঙানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা আর কোনো নেট দেয়নি। ছিল না কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা। বিকেলে ভবনটির উপর একটি অংশ ধসে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ভবন ধসের ঘটনায় আরও মানুষের মৃত্যু হতে পারতো। জামালখান এলাকার ওই সড়কে বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিনই সকালে, দুপুরে ও বিকেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা ফুটপাত দিয়ে যাওয়া-আসা করে থাকেন। সৌভাগ্যবশত স্কুল ছুটির আগেই ধসের ঘটনাটি হওয়ায় বড় ধরনের ট্র্যাজেডি হয়ে যেতে পারতো।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভবনটি ভাঙার সময় কোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফুটপাতে চলাচলের জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতাও দেওয়া হয়নি। ভবন মালিকের উচিত ছিলো নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে প্রয়োজনীয় সেফটি গার্ড রাখা। অসচেতনতা ও গাফিলতির কারণে ভবন ভাঙার কাজ পাওয়া ঠিকাদারের সুপারভাইজার জসিম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান ভবন মালিকের আত্মীয় রণ চক্রবর্তী।
গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে পৃথক দুই স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। দুই জায়গাতেই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আন্দরকিল্লা সমবায় মার্কেটের লেদ মেশিনের একটি দোকানের আগুন আশপাশের তিনটি প্রিন্টিং ও প্রেসের দোকানসহ পাশের তিন তলা বিল্ডিংয়ের এবি সার্জিক্যাল স্টোরে ছড়িয়ে পড়ে। এবি সার্জিক্যাল স্টোরে মজুত থাকা কেমিক্যালের কারণে আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় দাহ্য বস্তুর মজুত রাখা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এসব বিষয় দেখার বা তদারকি নেই বললেই চলে।
নগরীতে বাড়ছে দুর্ঘটনা
দরকার সচেতনতা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা