চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ভারত ২টি বন্ধুপ্রতিম দেশ। দুই দেশের সাধারণ জনগণ অসাম্প্রদায়িক ও শান্তি প্রিয়। ভারত বর্ষে সনাতন ধর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ। ভারতের প্রায় সকল রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে আছে সনাতন হিন্দু ধর্মের নানা নিদর্শন ও তীর্থস্থান। তিনি বলেন, শুধু পুণ্য লাভ নয় তীর্থ ভ্রমনের ফলে চিত্তও প্রসারিত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতি বছর তীর্থ যাত্রায় বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মেয়র বলেন, দীর্ঘ তীর্থ যাত্রায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠি ও সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতির সাথে পরিচয় ঘটে। সব ভেদাভেদ ভুলে মানুষে-মানুষে মিলনই ধর্ম।
রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুস ছাত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তীর্থদর্শন পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে সনাতন সম্প্রদায় ও তীর্থ যাত্রীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিষদের আহবায়ক পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীরের সভাপতিত্বে ও কানুলাল নাথের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্যানেল-মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, জহর লাল হাজারী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, রুমকী সেন গুপ্ত, চসিক স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট মনীষা মহাজন, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, অরুন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা পিনাকী দাশ, পরিষদের সদস্য সচিব পরিতোষ বিশ্বাস। এতে উপস্থিত ছিলেন চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নিবার্হী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, ডা. সুবল আচার্য্য, প্রবীর আচার্য্য, যুগ্ন সদস্য সচিব রতন চৌধুরী, বলরাম দাশ প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, তীর্থ দর্শন মনকে উদার ও পবিত্র করে। দেশভ্রমণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার ভা-ার পূর্ণ হয়।
মানুষের জীবনে জ্ঞান অর্জন, ধনাজ্ঞন ও পুণ্যার্জন অপরিহার্য। তিনি বলেন, ধর্মকে বিশ্বাস হিসেবে লালন ও পরিচর্যা করতে হবে। ধর্মান্ধ নয় ধার্মিক হতে হবে। ধর্ম মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশে সহায়ক ভূমিকা প্রালন করে।
তিনি অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন অটুট রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের তীর্থযাত্রীদের ভ্রমণ ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, তীর্থ যাত্রীগণ আগামী ১৮ নভেম্বর বেলা ৩টায় চসিক পুরাতন নগর ভবন চত্বর থেকে ভারতের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন। তাঁরা ভারতে গয়ায় পিন্ডদান, হরীদ্বার গঙ্গা আবাহন, বেনারশ, কাশি, রাজা হরিশচন্দ্র শ্মশান ঘাট, অমুতসর স্বর্ণমন্দির, পাঞ্জাব ওয়াগা বর্ডার, মায়াপুর মন্দির, মথুরা, বৃন্দাবন, দিল্লীর কালিবাড়ী, চন্ডী মন্দির, মনষা মন্দিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের মঠ, মন্দির ও সাইট সিন গুলো পরিদর্শন করবেন। বিজ্ঞপ্তি