নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫০ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন, অসংখ্য শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল বিকাল ৫টায় কারখানায় অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি এ্যানি সেন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে নিহত শ্রমিকদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনায় শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং একইসাথে আমাদের ভেতর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘ ২১ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আমরা জেনেছি ফায়ার সার্ভিস সেখানে যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেনি। আগুন নেভাতে দেরি হওয়ার জের ধরে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কারখানাটিতে কোন অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিলো না বলে দাবি করেছেন শ্রমিকেরা, এছাড়াও তারা দাবি করছেন আগুন লাগার পরেও ভবনটির ৪র্থ তলার গেট তালাবদ্ধ ছিল বিধায় ৪র্থ তলায় কর্মরত কোন শ্রমিক বের হয়ে আসতে পারেননি। কারখানাটিতে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করতেন বলে জানা যায়। এটিকে হত্যাকা- হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে। আমরা প্রায়শই দেখি যে আমাদের দেশের কারখানাগুলো যথাযথ বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয় না। কারখানা মালিকের অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র না থাকা এবং জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা না থাকায় এতগুলো শ্রমিককে প্রাণ দিতে হল। শ্রমিকদের মৃত্যুর দায় অবশ্যই কারখানা মালিক এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে সকল কারখানায় অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র এবং জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা মনিটরিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। আহত হওয়া শ্রমিকদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।’ বিজ্ঞপ্তি
দোষীদের শাস্তি দাবি
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের ক্ষোভ


















































