# নগর বিএনপির আলোচনা সভা
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ নুর হোসেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হওয়া নূর হোসেনের কন্ঠকে হত্যা করে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। কিন্তু নূর হোসেন জীবন দিয়ে ৯০’র গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। তার রক্তের স্রোতে মুক্ত হয় গণতন্ত্র। তবে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নূর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, শহীদ নূর হোসেন স্বৈরাচার বিরোধী রক্ষক্ষয়ী সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী বীর। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম। যিনি মিটিং-মিছিল ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। সময়ের সাহসী সন্তান নূর হোসেন সেদিন রাজপথে স্বৈরাচারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। নুর হোসেন যোগ দেন জীবন্ত পোস্টার হয়ে। বীরোচিত জীবনদানের ফলে নূর হোসেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ১৯৮৭ সালের এই দিনে এরশাদ সরকার বিরোধী গণ-আন্দোলনে ঢাকা জিরো পয়েন্টের কাছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নূর হোসেন। যে স্বপ্ন নিয়ে নুর হোসেনসহ দেশের মানুষ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, নূর হোসেনসহ অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগের পথ বেয়ে স্বৈরাচারের পতনকে ত্বরান্বিত করে দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়। মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহসভাপতি শামসুল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, আবদুল হালিম শাহ আলম, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি