আমরা গরিব চাষি, তামাক চাষ করতে পারি না। কেননা আমাদের তামাক চাষ করার পরে সেটা বিক্রি করা যায় না। দেশে বর্তমানে শুধু মাত্র দুটি বিদেশি কোম্পানি ও কয়েকটি দেশীয় কোম্পানি তামাক কিনছে। আজ থেকে ১০ বছর আগেও আমরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে ন্যায্যমূল্যে তামাক বিক্রি করতাম। এ সকল শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানি নিম্নমানের সিগারেট বানাত এবং আমরা তাদের জন্য তামাক উৎপাদন করে দিতাম। বিদেশি সিগারেট কোম্পানি শুধুমাত্র উচ্চমানের সিগারেট বানাত, তাই আমাদের তামাক পাতা দেশীয় কোম্পানির কাছে বিক্রি করতাম। কিন্ত এখন আমারা জেনেছি একটি বিদেশি মালিকানধীন কোম্পানি নিম্নমানের সিগারেট উৎপাদন করে পুরো বাজার দখল করে নিয়েছে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো পেরে উঠছে না। আস্তে আস্তে বাজার হারাতে হারাতে দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো নিঃস্ব হয়ে গেছে। বর্তমানে ৩০টি শতভাগ মালিকানাধীন কোম্পানির মধ্যে ২৫টি কারখানা কোনমতে চলছে কিংবা বন্ধ আছে, উৎপাদন করতে পারেনা। তারা আমাদের কাছ থেকে তামাক নেয় না।
রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল এক মানববন্ধনের আয়োজন করে চাষিরা। এ সময় বক্তারা এসব বলেন।
২০১৮ সালের বাজেটে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য মহান জাতীয় সংসদে যে নীতিমালা পাস হয়েছিল অুনমোদন হয়েছিল সেটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, একটি কুচক্রী মহল সেটি এখনো বাস্তাবায়ন করতে দেয়নি।
দেশের অর্থকরী ফসল সিগারেটের বাজার যেকান থেকে সরকার প্রতি বছর ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে তা শুধুমাত্র বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়া উচিত হবে না। তামাক চাষ করে অনেক তামাক বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের সুযোগ দিন, আমরা কাজ করে দুটো ভাত খেতে চাই, আমরা উৎপাদন করতে চাই। বিজ্ঞপ্তি
Uncategorized