‘সরকার জ্বালানি তেলের দাম আবারো অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। কেরোসিন ও ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা করা হয়েছে। এক লাফে ২৩% দাম বাড়ানো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং দেশের বাস্তব অবস্থাকে বিবেচনায় না নিয়ে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে বিস্মিত করেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসাও আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে পানির দাম ৫% বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।’
গতকাল শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আসন্ন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে নগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এদিকে নতুন করে সরকার ডিজেল কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানোয় ‘মরার ওপর খড়ার ঘা’ হিসেবে জনগণের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলবে। এতে কৃষি উৎপাদনে সেচ খরচ, পরিবহনে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহন ব্যয় এবং গৃহস্থালি ও হোটেল রেস্টুরেন্টে রান্নার ব্যয় বাড়বে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা দেখে মনে হচ্ছে দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।
প্রস্ততি সভায় আগামী ৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেইস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ৮ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৩টায় কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় বাজারি শোষণে জনগণ যখন দিশেহারা, সে সময় ডিজেল কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ওপর আরেক দফা হামলার সমতুল্য।
তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলার আহ্বান জানান।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, করোনাকালে আয়ের পথ রুদ্ধ হয়ে এমনিতেই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা করুণ হয়ে উঠেছে, তার সাথে বাজারে মুনাফা শিকারীদের অপতৎপরতা অব্যাহত থাকলে সামনের পরিস্থিতি আরো দুর্বিষহ হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি