দুর্ভোগেও শহরমুখী মানুষের ঢল

আজ থেকে খোলা শিল্প কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক >>
আজ থেকে চালু হচ্ছে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান। ফলে কর্মস্থলের ডাকে কাঠখড় পুড়িয়ে নগর ফিরেছেন কর্মজীবী মানুষ। লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনে আর বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ফিরেছে মানুষ। দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া গুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিকে ছোট ছোট পরিবহনে গাদাগাদি করে আসায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
জানা গেছে, সরকারি ঘোষণা ১ আগস্ট থেকে খোলা যাবে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এ ঘোষণার পরে চাকরি বাঁচাতে নগরে ফিরতে তোড়জোড় শুরু হয় শ্রমজীবী মানুষের।
গতকাল শনিবার নগরে প্রবেশমুখ সিটি গেট, শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ট্রাক থেকে নামছে মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন পরিবহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসছেন তারা। নগরীর প্রবশপথে বহিরাগত গাড়ি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ওপারেই গাড়ি থেকে নেমে মাথায়, কাঁধে, হাতে ব্যাগ নিয়ে হেঁটে পার হচ্ছে সিটি গেট। নগরে ঢুকতেই বাড়ছে চাপ। নগরে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিকশা একমাত্র ভরসা তাদের। এতে মিলছে না শান্তি। রিকশা ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। এমনই করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে নগরে ফিরেছে মানুষ।
নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায়ও দেখা যায় এমন চিত্র। মইজ্যারটেক এলাকায় মিনি বাস, ট্রাক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে বাড়ি থেকে নগরে ফিরছে মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট থাকায় তারা হেঁটে পার হচ্ছে শাহ আমানত সেতু।
কুমিল্লা থেকে নগরে ফিরে পোশাক শ্রমিক ফিরোজ আব্দুল্লাহ সুপ্রভাতকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। কিন্তু শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় চাকরি বাঁচাতে চট্টগ্রামে ফিরতে হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে পরিবহন খুলে দিলে করোনা সংক্রমণ রোধ করা যেত। পরিবহন না পেয়ে মানুষ ছোট ছোট পরিবহনে গাদাগাদি করে শহরে ফিরছে। এতে সংক্রমণের আশংকা কি বাড়ছে না? তার ওপর দিতে হয়েছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া।’
চকরিয়া থেকে এসে হারুন মোহাম্মদ আমিন বলেন, ‘এভাবে লকডাউন দিয়ে আবার খুলে না দিয়ে কোরবানের পরেই শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ভাল হত। এখন বাড়ি থেকে শহরে ফিরতে ভাড়া দিতে হয়েছে দ্বিগুণ। আবার গাড়িও নেই রাস্তায়। এখন নতুনব্রিজ পার হতে হচ্ছে হেঁটে। প্রতিবারের লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট ছাড়া কিছু উন্নতি হলো না।’