সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
নাচ-গান-অভিনয় কিংবা ফিটনেস। ঘাটতি নেই কিছুতে। শুরুটা ১৪ বছর আগে। এম বি মানিকের ‘বলো না তুমি আমার’ ছবিতে অভিনয় দিয়ে বড় পর্দায় পথচলা তমা মির্জার। পরের বছরই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। দিন যতই যাচ্ছে, তমা যেন অভিনয় দিয়ে সবার মনে বেশি মাত্রায় জায়গা করে নিচ্ছেন।
এই সময়ে এসে ওটিটি ও রুপালি পর্দা দুই জায়গাতেই সরব তমা। ওয়েব সিনেমা ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘৭ নাম্বার ফ্লোর’, ‘ক্যাফে ডিজায়ার’-এ অভিনয় দিয়ে চমকে দেন তমা। প্রমাণ করেন, ফর্মুলা ছবির নায়িকা হলেও অভিনয়ের সুযোগ পেলে তিনিও জলের মতো। ‘সুরঙ্গ’ সিনেমা দিয়ে বাজিমাত করেছেন। সিনেমাটি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ঘুরেছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বহু দেশে। মূলত সেই ধারাটিই সচল রাখছেন মির্জা পরিবারের এই অভিনেত্রী।
তমা বলেন, ‘আমরা শিল্পী। আমাদের প্রতিনিয়ত প্রমাণ করতে হয়। ভালো প্রজেক্ট আমরা সবাই চাই। যখন যে কাজে হাত দিই, সেটাই মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। নতুন দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ভিন্ন ভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের। এতে পরিচালক ও সহশিল্পীও ভিন্ন। এ বছরই শুটিং শেষ হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।’
তার কথা শুনে বোঝা গেল মনের মতো পরিচালক ছাড়া নতুন কাজে হাত দিতে চান না তিনি। তাই হয়তো ওপার বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী-পরিচালক অঞ্জন দত্তের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছেন তিনি। গত বছরের ডিসেম্বরে শুটিং শুরু করেন ‘দুই বন্ধু’ ওয়েব সিরিজের।
তমা জানান, “তিনি (অঞ্জন দত্ত) আমাকে ফোন করে বলেছিলেন– আমি আমার ‘দুই বন্ধু’ সিরিজের একটা চরিত্রে তোমাকেই দেখি। এর আগে আমি কলকাতার কোনো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করিনি। তাই অঞ্জন দত্তের সঙ্গে কাজের প্রস্তাবে একটু ভয়ে ছিলাম। কারণ, তার সঙ্গে সেখানকার বড় মাপের সব অভিনয়শিল্পী কাজ করেছেন। অভিজ্ঞতা শেষ পর্যন্ত অসাধারণ। তিনি অসাধারণ পরিচালক যেমন, তেমনি অসাধারণ একজন শিল্পী। ক্যাপ্টেন অব শিপ হিসেবে তিনি আমাকে মুগ্ধতায় ভাসিয়েছেন।”