সুপ্রভাত ডেস্ক »
মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে নিম্ন আদালতের ২ বিচারকের ব্যাখ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নিম্ন আদালতের ২ বিচারক আমাদের আন্ডারমাইন করেছেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ব্যাখ্যায় বলেছেন পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা পরীমনির রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। রিমান্ড মঞ্জুর করে অনিচ্ছাকৃত ভুল করে থাকলে তারা আদালতের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাদের ব্যাখ্যায় মনে হয়েছে তারা কোনো ভুল করেননি। তাদের ব্যাখ্যায় ২ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের আন্ডারমাইন করেছেন। আমরা তাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই।’
আদালত তাদের কাছে আবারও ব্যাখ্যা চেয়েছেন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাকে আদালতে হাজির হয়ে কেন তিনি পরীমনির রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী জেড আই খান পান্না আদালতকে বলেন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগকে তাদের ব্যাখ্যার মাধ্যমে আন্ডারমাইন করেছেন। পরীমনির রিমান্ড মঞ্জুর করে ভুল করেছেন সেই বিষয়টি তারা স্বীকার করেননি।
গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় না মেনে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছেন পরীমণি। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির হন। আদালত চত্বরে আসার পরই তিনি ভক্তদের হাত উঁচিয়ে অভিবাদন জানান।
এবারও দেখা গেল তার হাতে মেহেদী রঙে লেখা একটি বার্তা। তবে এবার তিনি ভিন্ন ইঙ্গিত করেছেন। লেখা রয়েছে ‘… মি মোর’। মধ্যাঙ্গুল উঁচিয়ে বিশেষ এই বার্তা পরী কার উদ্দেশ্যে দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা যায়, নিন্দুকদের জন্যই তার এমন বার্তা।
চিত্রনায়িকা পরীমণি গত ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সেদিন বের হয়ে হাত উঁচিয়ে তিনি বিজয়োল্লাস করেন। ওই সময় তার হাতে মেহেদীতে লেখা একটি বার্তা নজর কাড়ে সবার। লেখা ছিল, ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে র্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তিনি থানা ও কারাগার মিলিয়ে প্রায় এক মাস বন্দী থেকেছেন।
সূত্র : ডেইলি স্টার ও ঢাকা পোস্ট