দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে

বান্দরবানে পর্যটকদের ভিড়- সুপ্রভাত

বান্দরবান

নিজস্ব প্রতিবদেক, বান্দরবান :
দীর্ঘ ৫ মাস পর পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। করোনা সংক্রমণের কারণে টানা ৫ মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।
শুক্রবার ছুটির দিন আর দীর্ঘদিন পর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
শুক্রবার বিকালে বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান মেঘলা, নীলাচল ও শৈলপ্রপাত ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম দিনে উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের পদচারণা ছিল। পরিবার পরিজন নিয়ে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। দীর্ঘ দিন পর পর্যটক আসায় খুশি হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজের মালিক, পরিবহন মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন হোটেল মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্র নীলাচলের দায়িত্বে থাকা আদিব দাস জানান, দীর্ঘ দিন পর খুলে দেয়ায় সকাল থেকে নীলাচলে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য সময় বন্ধের দিনে যে পরিমাণ পর্যটকের আগমন ঘটত সে পরিমাণ পর্যটক এখনো আসেনি। প্রথমদিন হিসেবে হয়ত একটু কম, তবে আস্তে আস্তে পর্যটকের আগমন বাড়বে। প্রশাসনের দেয়া শর্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছি। মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ায় দীর্ঘদিন পর বান্দরবানে পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলো সরব হয়ে উঠেছে। হোটেল মোটেলগুলোতেও দীর্ঘ দিন পর গেস্ট আসায় মালিকরাও খুশি। এবং প্রতিটি হোটেলে প্রশাসনের শর্ত মোতাবেক স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হোটেল মালিকরা পর্যটকদেও রুম দিচ্ছে। অনেকে পর্যটকদের জন্য নতুন করে সাজাচ্ছে তাদের রিসোর্টগুলো। আশা করি ধীরে ধীরে পর্যটকের আগমন বাড়বে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে টানা ৫ মাস হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। ২১ আগস্ট থেকে বিভিন্ন সেক্টরে ৭৪টি শর্ত আরোপ করে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয় বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রসহ হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ।