দিল্লির পর পাকিস্তানের রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১২

ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার আদালত এলাকায় আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। ছবি: এএফপি

সুপ্রভাত ডেস্ক »

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এ ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই হামলাকে দেশের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের অবস্থায় আছি। যারা মনে করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল ও বেলুচিস্তানের দূরবর্তী এলাকায় কেবল এই যুদ্ধ লড়ছে, তাদের জন্য ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আজকের এই আত্মঘাতী হামলাটি হলো জাগ্রত হওয়ার বার্তা।’

খাজা আসিফ আরও যোগ করেন, এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে সফল আলোচনার জন্য বেশি আশা রাখা অর্থহীন হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ঘটনার ভিডিওগুলোতে নিরাপত্তাবেষ্টনীর পেছনে একটি দগ্ধ গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠতে দেখা যায়।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী রুস্তম মালিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি যখন আমার গাড়ি পার্ক করে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছিলাম…ঠিক তখনই গেটে একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম।’ বিস্ফোরণের পর সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

মালিক বলেন, ‘আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ প্রাঙ্গণের ভেতরে ছুটছিলেন। আমি গেটের ওপর দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল।’ বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশে থাকা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে এক ট্রাফিক সিগন্যালে একটি ধীরগতির গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সাদা রঙের হুন্দাই আই-২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এতে ৯ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাটি ছিল রাজধানীর ব্যস্ততম জায়গাগুলোর একটি। এ ঘটনায় এখনো কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ভারত সরকার সরাসরি কোনো পক্ষকে দায়ী করেনি।