নিজস্ব প্রতিবেদক »
সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীতে শাকসবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাড়ছে সব ধরনের মাছ মাংসের দাম। ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৮০ টাকা বাড়তিতে বিক্রি হচ্ছে। মাংসের মধ্যে মুরগির বাজার কেজিতে ১০ টাকা কমলেও খাসির বাজার ১০০ টাকা বাড়তি বিক্রি হচ্ছে।
বক্সিরহাট ও সিরাজউদৌল্লা রোড কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, করল্লা, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, লাউ, টমেটোসহ বেশিরভাগ সবজি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আবার কোনটা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাংসের বাজারে সকল ধরনের মুরগির মাংসের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমলেও গরু ও খাসির মাংসে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বাড়তিতে বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা ধরে সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশসহ প্রতিকেজি সামুদ্রিক মাছের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা। মিঠা পানির মাছের দাম সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে বেড়েছে।
বাজারে প্রতিকেজি মাঝারি সাইজের তেলাপিয়ার কেজি ১৫০ টাকা, বড় সাইজের কেজি ১৮০ টাকা। পাঙ্গাস প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, কই মাছ প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই আকারভেদে প্রতিকেজি ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, চইক্যা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পোয়া ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, বাটা ১৮০ থেকে ৪০০ টাকা, বিগহেড ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, কাচকি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বক্সিরহাটে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমছে। পাশাপাশি দাম কমেছে লাল লেয়ার মুরগির। লাল লেয়ার মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকায়। অর্থাৎ দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫০ থেকে ৪৭০ টাকায়।
লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রয় হচ্ছে প্রতি ডজন ১১৫ টাকা, সাদা মুরগির ডিম ১০৮ থেকে ১১০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৬০ টাকা।
বক্সিরহাটের ক্রেতা জামাল বলেন, শুনছি বাজারে নাকি অনেক বেশি ইলিশ বাজারে এসেছে। কিন্তু দাম তো কমছে না। আবার অন্যান্য মাছের দাম অনেক বেশি। পাঙ্গাস মাছ কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। গোশত আমাদের জন্য না, এগুলো মার্চেন্ট পার্টির জন্য।
বক্সিরহাটের মুরগি ব্যবসায়ী আমিনুল হক বলেন, প্রায় এক মাস ধরে মুরগির দাম বেড়েছে। যে হারে চাহিদা রয়েছে সে হারে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া জ্বালানি তেল, পরিবহন খরচ ও মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ফার্মের মালিকরাও দাম বাড়িয়ে ফেলেছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুরগির চাহিদা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বক্সিরহাটের অবস্থা তেমন ভালো না। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি যে একটি অবৈধ সাবেরিয়া বাজার চলছে, তা কেউ দেখছে না। এতে প্রশাসন নীরব। ট্যাক্স, হাসিল, ভাড়া দিয়ে পোষাতে পারছি না। সিটি করপোরেশনের এই বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মাছ ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, ইলিশের দাম কিছুটা থাকলেও অন্যান্য মাছের দাম কমেছে। এখন ছোট সাইজের ইলিশ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কেনা যায়। তবে মিঠা পানির মাছের দাম তুলনামূলক একটু বেশি।