কর্মসূচির ৬ষ্ঠ দিনে চসিক প্রশাসক সুজন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ক্যারাভান দখলবাজ এবং উন্নয়ন কর্মকা- সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে এক কঠিনবার্তা দিচ্ছি। অবৈধ দখলদার যতই ক্ষমতাবান কিংবা প্রভাবশালী হোন না কেন কাউকে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। তাদের সকল অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি গতকাল অপরাহ্নে নগরীর ২ নম্বর গেট থেকে বায়েজিদ হয়ে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত নগরসেবার ক্যারাভান কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন স্থানে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। এছাড়া যাত্রাপথে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা দেখে সাথে সাথে সেসবের সমাধানে নির্দেশনা প্রদান করেন। ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত অবৈধ মাদক বেচাকেনার আস্তানাগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। এসব মাদক আস্তানাগুলো সন্ত্রাস ও অনাচারের উৎপত্তি স্থল। তিনি অক্সিজন মোড়ে যানজট ও জলাবদ্ধতাজনিত বিদ্যমান সমস্যাগুলো সম্পর্কে বলেন, এই সমস্যা অনেক পুরোনো। এগুলোর সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এজন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা যাতে যুগোপযোগী করা যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে হবে। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে যেগুলো দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। উক্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী জলজট থেকে মুক্তি পাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। জলাবদ্ধতা নিরসনে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, পানি নিষ্কাশন পথগুলো যারা বন্ধ করে রেখেছেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। ফুটপাতের ওপর নির্মাণ সামগ্রী থাকলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে। ফুটপাত জনগণের হাঁটাচলার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে কোনো ধরনের প্রবিন্ধকতা বরদাশত করা হবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় তরঙ্গের আভাস স্মরণ করিয়ে দিলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বাইরে মাস্ক ছাড়া কোনোভাবেই চলাফেরা করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, করোনাকালের ইতি ঘটেনি। যতদিন ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হচ্ছে না ততদিন আমরা বলতে পারি না এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছি। প্রশাসক চলতি পথে জমে থাকা পানি, ময়লা আবর্জনা ও ভাঙাচোরা রাস্তা তাৎক্ষণিক সংস্কারের ব্যবস্থা করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করে বলেন, যেহেতু এখন রাস্তা সংস্কারের কাজ চলমান সেহেতু আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন। যেখানে অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি দেখবেন আমাকে অবগত করুন। তিনি অবৈধ গাড়ি পার্কিং দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং রাস্তায় কোনো অলস গাড়ি পার্কিংয়ে থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তিনি এলাকাবাসীকেও ক্যারাভানে শরিক হওয়ার আহবান জানান এবং সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। ক্যারাভান চলাকালে চসিক প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে যারা স্বউদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া কর্মসূচিতে উপস্থিত র্যাব, পুলিশ, সংবাদকর্মী, চসিক-এর প্রকৌশল, বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্নসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন প্রশাসক। এ সময় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি