গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নগরের ৮টি থানা ও ৮টি ফাঁড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। ওই সময় ৮১৩টি অস্ত্র ও ৪৪ হাজার ৩২৪টি গুলি লুট হয়। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার হয়নি। এতদিন ধারণা করা হতো এসব অস্ত্র পেশাদার সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের হাতে পড়ে থাকতে পারে। এবার সাজ্জাদ হোসেনের মতো সন্ত্রাসীর লুট হওয়া গুলি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়ল পুলিশের কপালে।
চট্টগ্রামে আরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আরিফ একটি ডাকাত দলের নেতা। থানা থেকে লুট করা অস্ত্র-গুলি দিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করতো সে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর আস্তানা থেকে ইতালির তৈরি একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ও ৫০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডাকাত দলের নেতা আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ স্বীকার করেছে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলি ডবলমুরিং থানা থেকে লুট করেছিল। তবে এগুলোর বাইরে তার কাছে আরও অস্ত্র-গুলি আছে কি না, তা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে। এ জন্য তাঁকে থানা লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করা হবে আদালতে। তা মঞ্জুর হলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে হয়তো তাঁর কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
৫ আগস্টের পর শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারা দেশে অনেক থানার অস্ত্র লুট হয়েছে। এসব আধুনিক মরণঘাতী অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী পেশাদার ডাকাতদের হাতে রয়ে গেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়েও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। এসব অস্ত্র বাইরে রেখে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যাবে না। এর জন্য সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে অস্ত্র উদ্ধার করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।
এ মুহূর্তের সংবাদ