সুুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আগের দুই ওয়ানডেতে করেন শূন্য। টানা অফফর্মের কারণে অবশেষে দল থেকে বাদ পড়লেন লিটন দাস। তার বদলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের দলে ডাক পেয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে চমক দেখানো জাকের আলী। এবারই প্রথম ওয়ানডেতে ডাক পেলেন জাকের। ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচের স্কোয়াড শনিবার (১৬ মার্চ) ঘোষণা করেছে বিসিবি। আগামী সোমবার ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা জাকেরের টি-টোয়েন্টি দলে অভিষেক হয়েছে আগেই। তিনি জাতীয় দলের মোড়কে (মূল জাতীয় দল নয়) টি-টোয়েন্টিতে খেলা শুরু করেছেন ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবরে। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে এশিয়ান গেমস পুরুষ ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। এরপর গত ৪ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মূল জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন জাকের। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন জাকের। ৫৫ গড়ে রান করেছেন ১১০। সর্বোচ্চ রান ৬৮। অপরদিকে সম্প্রতি ফর্মহীনতার চরম পর্যায়ে চলে গেছেন লিটন। সর্বশেষে ৪ ওয়ানডে তার রান মাত্র ৭। এসব ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটারের সংগ্রহ ৬, ১*, ০, ও ০। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর ভারত বিশ্বকাপে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন লিটন। এরপর ১০ ম্যাচ খেললেও তার ব্যাট থেকে অর্ধশতকের কোনো ইনিংস বেরিয়ে আসেনি। লিটন সর্বশেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি দেখেছিলেন ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সে হিসেবে ২ বছর ধরে সেঞ্চুরি ছাড়াই দলে খেলে যাচ্ছিলেন এই টপঅর্ডার। এদিকে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করেন, জাকের আলী অনিকের অন্তর্ভূক্তিতে দলের ভারসাম্য বাড়বে। মিডল অর্ডারে আরও স্থিতি আসবে। তিনি যোগ করেন, ‘কোনো ক্রিকেটার বিশেষ করে উইকেটকিপার মাথায় আঘাত পেলে কনকাশনে একজন বিকল্প দরকার হয়। দলে জাকের আলী অনিককে সেই কথা চিন্তা করেও নেওয়া হয়েছে।’
গতকাল শনিবার দুপুরে বিসিবি থেকে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর এক ভিডিওবার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে জাকের আলী নেওয়া প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচকের মূল বক্তব্যটা এমন, ‘যেহেতু সিরিজ চলছে, তাই খুব পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না। সে কারণেই আমরা একটি মাত্র পরিবর্তন করলাম। নতুন বলে খুব অধারাবাহিক হওয়ার কারণে শেষ ম্যাচে লিটন দাসকে বাইরে রাখা হয়েছে। আমরা যখন লিটনকে শেষ ম্যাচে অন্তর্ভুক্ত করলাম না, তখন তার জায়গায় খালি হলেও বাইরে থেকে আর কোনো ওপেনারকে নেইনি, কারণ দলে আরও ওপেনিং অপশন আছে।’
লিটনের বদলে জাকেরকে বিবেচনায় আনা এবং দলভুক্ত করাটা শুধুই নির্বাচকদের একক সিদ্ধান্ত নয়। সিলেকশন প্রক্রিয়ায় কোচ ও অধিনায়কের মতামত নেওয়া হয়েছে, দাবি লিপুর। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘যেহেতু লিটন ছাড়াও আমাদের অধিনায়ক ও কোচের হাতে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে এনামুল হক বিজয় আর তানজিদ হাসান তামিমও আছেন, তাই আমরা দেখেছি লিটনের বদলে মিডল অর্ডারে কাউকে নেওয়া যায় কিনা। আমাদের মনে হয়েছে জাকের আলী অনিক বেস্ট পসিবল অপশন।’
লিপু যোগ করেন, ‘জাকের আলী সিলেটে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দারুণ ব্যাট করেছে। তারপর প্রিমিয়ার লিগেও রান করেছেন। মাল্টিপল দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আমরা মনে করেছি জাকেরের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে ব্যালেন্স থাকবে। শেষ ম্যাচটি হচ্ছে দিনের ম্যাচ। আমরা মনে করছি অনিক দলে ঢোকার অন্যতম দাবিদার। তাই তাকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।’ খবর জাগোনিউজ’র