নিজস্ব প্রতিবেদক »
মা রান্নাঘরে ব্যস্ত, বসতঘরে ছোট্ট শিশু মোহাম্মদ আকাইদ খাটে ঘুমন্ত। এসময় মায়ের অগোচরে এ শিশুকে কারা যেন চুরি করে নিয়ে যায়। রান্নাঘর থেকে ফিরে সন্তানকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে মা। সন্তানের দেখা না পেয়ে মা যেন দিশেহারা।
বুধবার নগরীর পাহাড়তলী থানায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার নগরীর পাহাড়তলী শাপলা আবাসিক এলাকা থেকে চুরি যাওয়া শিশু মোহাম্মদ আকাইদকে চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পাহাড়তলী থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার শাপলা আবাসিক এলাকার ইদ্রিস কলোনির বাসিন্দা জাহানারা বেগমের বাসা থেকে ১০ মাসের শিশু মোহাম্মদ আকাইদ নিখোঁজ হয়। সেই সময় তিনি রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলেন। রান্নাঘর থেকে ফিরে সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন জাহানারা। পরে সন্তানকে না পেয়ে বুধবার পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন তিনি।
এই মামলার প্রেক্ষিতে অভিযানে নামেন পুলিশ। প্রথমত সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শাপলা আবাসিক এলাকার মো. ফরহাদ, মো. দুলাল এবং মো. সবুজকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হালিশহর এলাকা থেকে হালিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশু মোহাম্মদ আকাইদকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানা এলাকায় হালিমা বেগমের বড় বোন আসমা বেগমের (৩৫) নিকট বিক্রি করেছে। পরে মতলব উত্তর থানার পুলিশের সহায়তায় আসমা বেগম এবং মো. বেলালকে (৩৫) গ্রেফতার করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকা ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. ফরহাদ (৪০), মো. দুলাল (৩০), মো. সবুজ (২৫) হালিমা বেগম (২৬) আসমা বেগম (৩৫) এবং মো. বেলাল (৩৫)।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবারে শিশু সন্তান নিখোঁজের ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনদিন পর শিশু সন্তান আকাইদকে চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’