হত্যা মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক »
ভাসা জাল বসিয়ে মাছ ধরতে গেলে জাহেদ হোসেনকে বাধা দেয় মোহাম্মদ শাহেদ। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে জাহেদ মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে আনেন তার দুই ভাই হারুন ও আনোয়ারকে। এরপর তারা একসঙ্গে ধারালো কিরিচ, দা ও লোহার রড দিয়ে শাহেদের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে একটি কোপ পড়ে শাহেদের মাথায়। চিকিৎসার জন্য শাহেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তারপর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিনই শাহেদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক আ.স.ম. শহীদুল্লাহ কায়সার।
গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৭ম অতিরিক্ত দায়রা আদালতের এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের ৭ম অতিরিক্ত দায়রা আদালত বেঞ্চ সহকারী হাফেজ আহম্মেদ।
এ বিষয়ে মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হারুন রশিদ (৪০), জাহেদ হোসেন টুন্টু (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬) নামের তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় জাহেদ হোসেন টুন্টু ও আনোয়ার হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর পলাতক হারুন
রশিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ জুলাই আনোয়ারা উপজেলার মধ্যম শিলাইগড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ড খলিল মেম্বারের নতুন বাড়ির পশ্চিম পাশে রাজা সরদার রোডে মোহাম্মদ শাহেদের বাড়ির পাশের বিলে কথা কাটাকাটি এবং খুনের ঘটনা ঘটে। ২ জুলাই সকালে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহেদের মৃত্যু হয়। সেদিনই তিন ভাইকে আসামি করে আনোয়ারা থানায় শাহেদের চাচা মো. ইউনুছ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।