স্বাক্ষর জাল করে কোম্পানি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক »
স্বাক্ষর জাল করে প্রোপাইটরশিপ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্ত সাধন করে কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলম শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের পেশকার মানু কান্তি শর্মা।
তিনি বলেন, ‘পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অন্যায়ভাবে প্রলুব্ধ করে স্বাক্ষর জাল করে প্রোপাইটরশিপ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্ত সাধন করে কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ব্যবসায়ীরা হলেন, সাবেক বিএসটিসি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের সাবেক শেয়ারহোল্ডার পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রকাশ রিপন, শফিকুল ইসলাম সবুজ ও মো. নুরুন্নবী। তারা তিনজনই বর্তমানে জেক শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেড কোম্পানির সাথে আছেন।
একই সময় আনোয়ার আহমেদ নামের বিএসটিসি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস এর অপর একজন সাবেক শেয়ার হোল্ডার পরিচালকের জামিন মঞ্জুর করেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলার চার আসামি উচ্চ আদালত কর্তৃক ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তারা আত্মসমর্পণ করে ফের জামিন আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট একজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন এবং অপর তিনজনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর মোরশেদ আরিফ চৌধুরী এ মামলা দায়ের করেন। তার বাবা এ এ রেজাউল করিম চৌধুরীর স্বাক্ষর জাল করে প্রোপাইটরশিপ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্ত সাধন করে ২০০৬ সালে বিএসটিসি শিপিং লিমিটেড নামে লিমিটেড কোম্পানি গঠন করে আসামিরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় ৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে প্রথমে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করে পিবিআই। এতে বাদি নারাজি দিলে আদালত সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর সিআইডি রিপোর্ট জমা দেয়।
সিআইডির রিপোর্টে দেখা যায়, এজহারভুক্ত ৭ জনের মধ্যে দুই জনকে বাদ দিয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।