ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ হবে কখন

গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য রয়েছে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স স্টেশনে। গত ১৪ মাসে চারজন নিহত এবং ১৬ জন আহত হওয়ার তথ্য রয়েছে সংস্থাটির হাতে। সর্বশেষ ২২ ফেব্রুয়ারি বারইয়ারহাটসংলগ্ন আল নূর হাসপাতালের এলাকার ইউটার্নে একটি দুর্ঘটনা ঘটে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দৈনিক কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ব্যস্ততম এ সড়কে চলাচলকারী অধিকাংশ চালক মানছেন না ট্রাফিক আইন। যেখানে-সেখানে পার্কিং, উল্টো পথে গাড়ি চলার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, গত ১৪ মাসে ৯৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৬ জন। সর্বশেষ ৭ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মস্তাননগর বিশ্বরোড এলাকায় মোটরসাইকেল ও উল্টো দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
গত ১৪ মাসে ৪৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস। এসব ঘটনায় তারা নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও দুজন নারী ছিলেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে অন্তত ৪৯ জনকে।

সরকার ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পার্কিং করার জন্য মডেল ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। মডেল ফিলিং স্টেশনগুলো মূলত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুটি মডেল ফিলিং স্টেশন থাকলেও রাতের বেলায় গাড়িগুলো যত্রতত্র সড়কের পাশে পার্কিং করে রাখা হয়।

ধারণা করা হয়েছিল, সড়কে ডিভাইডার দেওয়ার পর দুর্ঘটনা কমবে। কিন্তু যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া উল্টো পথে গাড়ি চলাচল করার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া ঘুমচোখে গাড়ি চালানোও একটি অন্যতম কারণ।
দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন এই মহাসড়ককে নিরাপদ করতে হলে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ দরকার।