সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৮৮% ডেন-২ ভেরিয়েন্টের এবং ১১% ডেন-৩ ভেরিয়েন্টের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল মারাত্মক, যা গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।২০২৩ সালে, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,২১,১৭৯, যা আগের ২৩ বছরের মোট সংখ্যার (২,৪৪,২৪৬) চেয়ে ১.৩ গুণ বেশি এবং এই বছরে মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল আগের তুলনায় দ্বিগুণ (১,৭০৫ বনাম ৮৪৯)।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সরকারি হাসপাতালে, অপরজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এদিন কেউ মারা যাননি। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে চলতি বছর ৩১১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন দুই জন। তাদের মধ্যে চলতি জুন মাসে আক্রান্ত হন ৪২ জন। এর মধ্যে ১৬ জন নগরের এবং ২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ৩২৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ১৪ হাজার ৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১০৭ জন। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৫ হাজার ৪৪৫ জন এবং মারা যান ৪১ জন।
ডেঙ্গু জ্বর চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসের যে কোনো একটির কারণে হয়ে থাকে যা মশার কামড়ের মাধ্যমে রোগীর শরীরে ছড়ায়। মহিলা এডিস মশা ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে এবং সংক্রামিত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিতে বহন করে। যদি কারও পূর্বে ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়ে থাকে, তবে দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হলে তাদের গুরুতর জটিলতা এবং ডিএসএস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জীবদ্দশায় সংক্রমণের সংখ্যা যত বেশি, গুরুতর জটিলতার সম্ভাবনা তত বেশি।
ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণ লক্ষণের পাশাপাশি কিছু নতুন উপসর্গও দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে হঠাৎ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, মাংসপেশী ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খাবারে অরুচি, দুর্বলতা এবং ডায়রিয়া। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে ফুসফুসেও প্রভাব পড়তে পারে।
এখন একদিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অন্যদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ এ দুই মিলে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই আতঙ্ক দূর করার সরকারি পরিকল্পনা আছে কিনা জানি না।