চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, অতি বৃষ্টিজনিত ও একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলাকালীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যান ও জন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক উপযোগিতা হারিয়েছে। এ সময় সড়কে আপাতত খানা-খন্দক ভরাট করে কিছুটা যান চলাচল উপযোগী করা হলেও বর্ষার কারণে স্থায়ী সমাধানে বাস্তব কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে নগরীর বেহাল সড়কের ঝকঝকে রূপ দেখতে চাই।
তিনি গতকাল শনিবার নগরীর সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এখন বর্ষা ও অতি বর্ষণ অতিক্রান্ত এবং শুষ্ক মৌসুম বিদ্যমান। তাই সুযোগ এসেছে বর্ষণসহ নানাবিধ কারণে ক্ষতিগস্ত ও বেহাল সড়কগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার। তাই চসিকের প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে এ কাজে নিয়োজিত ও সক্রিয় রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ও বেহাল সড়কের কারণে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে। মানুষের মূল্যবান সময় অপচয় ও স্বাভাবিক নাগরিক জীবন-যাপন ব্যাহত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সাময়িক ব্যাক-আপ দেয়া হলেও স্থায়ী সমাধান দেয়া সম্ভব ছিল না ; এর বড় কারণ অতি বর্ষণ। তবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেহাল সড়ক সংস্কার, মেরামত ও স্বাভাবিক স্তরে উন্নীতকরণে স্থায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পদক্ষেপসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেভাবেই সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি এর সুফল আগামী ডিসেম্বর মাসেই পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জাইকার অর্থায়নে অ্যাসপল্ট প্লান্টের মাধ্যমে মাঝির ঘাট রোড, স্ট্রান্ড রোড, পিসি রোডের কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে। আইস ফ্যাক্টরি রোডে নালার রিটেনিং ওয়ালের কারণে কাজ শুরু করা না গেলেও এখন ঐ সমস্যা আর নেই। সেখানে এখন রোড কার্পেটিং কাজ চলছে। এই কাজগুলো ডিসেম্বরে শেষ হবে। এছাড়া মেহেদীবাগ রোড, হালিশহর আনন্দ বাজার রোড, আবদুল লতিফ রোড, কে.বি আমান আলী রোডের সংস্কারকাজ প্রায় শেষের দিকে। এই বাইরে প্যাঁচ ওয়ার্ক কাজ চলমান রয়েছে। এ সকল কাজ তদারকি ও মান যাচাইয়ে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, তৌহিদুল ইসলাম, আশিকুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি