চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের পাশে বিশাল জায়গা দখলমুক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের রাজ্য। অথচ কিছুদিন আগেও সেখানে ছিল মাদকের আখড়া। সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছিল শুকতারা নামের একটি হোটেল। এখন শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফুলের সৌন্দর্য।
১৯৪ একর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে একটি অন্যরকম পার্ক গড়ে তুলেছে জেলা প্রশাসন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক’। আয়োজন করা হয়েছে ৯ দিনব্যাপী ফুল উৎসব। এই উৎসব চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফুলে ফুলে সেজে উঠা নতুন পার্কে প্রতি বিকেলে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ।
জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, প্রথম পর্যায়ে এখানে ৩০ হাজারের বেশি ফুল গাছের চারা রোপণ করা হবে। এখন আছে ১২২ প্রজাতির ফুল গাছ। পর্যায়ক্রমে বাড়বে ফুল গাছের পরিসর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জায়গার পুরোটাজুড়েই থাকবে ফুলের বাগান এবং ফুলকেন্দ্রিক নানা স্থাপনা। সেই সঙ্গে পাশে থাকা জোড়াদীঘিতেও থাকবে নৌকার মতো বিনোদনের নানা উপকরণ। সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ফুলের এই রাজ্য।
ফুল উৎসব উদ্বোধন করতে এসে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করব, প্রতি বছর পুষ্প মেলা হবে। অক্টোবরে ফুলগাছ লাগানো হলে নভেম্বরের শেষের দিকে ফুল ফুটে যায়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা যায়। তাহলে জায়গাটি নান্দনিক থাকবে। তবে মেলায় সামান্য হলেও প্রবেশ ফি রাখতে হবে। না হয় ফুলের মর্যাদা মানুষ বুঝবে না।’
উচ্ছেদের জায়গায় ফুলের পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এক অভাবনীয় ও বিরল কাজ প্রশাসনের। সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে অভিনন্দন।
ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক
প্রশংসনীয় উদ্যোগের জন্য প্রশাসনকে অভিনন্দন