নিজস্ব প্রতিবেদক »
ডিমের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১১০ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকায় ওঠেছে। মুরগির ডিম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকায় ওঠে। এর মধ্যে ডিম আমদানির ঘোষণায় দাম কমে ১১০ টাকায় নামে। তবে সপ্তাহ দুয়েক না যেতেই আবারও বেড়েছে ডিমের দাম।
বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী লেয়ার মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা। হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়।
বক্সিরহাটের ডিম ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম বলেন, ডিমের ডজন ১৬০ টাকা হয়েছিল কিছুদিন আগে। দাম বেশি হওয়ার কারণে সে সময় ডিমের চাহিদা কমে যায়। এ কারণে ডিমের ডজন ১২০ টাকায় নামে। তবে এখন আবার ডিমের চাহিদা বেড়েছে। আমরা দেশের বিভিন্নস্থান ও পাহাড়তলী সাইফ এন্টারপ্রাইজ থেকে কিনে এনে বিক্রি করছি। বাড়তি দামে কিনতে হলে বাড়তি দামেই আমাদের বিক্রি করতে হয়।
এদিকে বাজারে ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে। ১৫ দিন আগে পেয়াঁজের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকার ওপরে ছিল।
এছাড়া, কাঁচা মরিচের দামও পরিবর্তন এসেছে। গত সপ্তাহের মতো বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। আর এককেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।
বাজারে নতুন শিম ও ফুলকপির দাম বেশি। বর্তমান বাজারে শিম ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শিমের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর এবং বরবটির দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেজি। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা পেঁপের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুরলতি, ঝিঙ্গে, চিচিঙ্গা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
মাছবাজার ঘুরে দেখা যায় গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দাম পরিবর্তন আসেনি।
এদিকে দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি এবং ইলিশ। চিংড়ি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৬৫ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা বিক্রি হয়। এছাড়া বাজারে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম ৮০০ টাকা।