সুপ্রভাত ডেস্ক »
কোটা আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে নাশতা করার কয়েকটি ছবি রোববার ফেইসবুকে পোস্ট করেছিলেন ডিবি কর্মকর্তা হারুন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কারীকে ডিবি কার্যালয়ে বসিয়ে খাওয়ানো এবং সেই ছবি প্রকাশ করা নিয়ে আলোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
সোমবার একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ ওই সমালোচনা করে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন ও জেড আই খান পান পান্না।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদন করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। খবর বিডিনিউজের।
শুনানির এক পর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, “কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে তাদের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে। মিডিয়ায় দেখা গেছে, তারা কাঁটা চামচ দিয়ে খাবার খাচ্ছেন।”
তখন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, “ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, “আজ প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত একথা বলেছেন। আগামীকাল এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।”
গত শুক্রবার নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরদিন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
রোববার কোটা আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাশতা করার কয়েকটি ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।”