সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
বাইশ গজে তার আগ্রাসনই বিরাটকে ক্রিকেট মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে। ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মার মতো তার সমসাময়িক ব্যাটিং গ্রেটদের থেকে ঠিক কোথায় আলাদা বিরাট। উত্তরে বাংলাদেশ পেসার আল আমিন হোসেন জানালেন, প্রত্যেকটা ডট বলের পর বোলারকে স্লেজিং করে বিরাট। যার ফলে পালটা চাপে পড়ে যায় বোলাররা।
বাংলাদেশের এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে ফেসবুক আড্ডায় আল আমিন বলেন, ‘তুমি বিরাট কোহলিকে যতবার ডট বল করবে ও তোমায় ততবার স্লেজিং করবে। ও এমন কিছু খারাপ শব্দ ব্যবহার করে যা আমি দর্শকদের সামনে বলতে পারব না। ও বোলারের উপর পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টায় থাকে। মনোসংযোগে ব্যাঘাত করার চেষ্টা করে।’
বাংলাদেশ পেসারের কথায়, ‘আমি ক্রিস গেইল, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মার মতো বড় বড় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বল করেছি। কেউ বিরাটের মতো না। তুমি একটা ভালো বল করলে ওরা নিজেদের ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে। ওরা কোনও কথা বলে না। কোহলি ঠিক উলটো। ও তোমায় পালটা স্লেজ করবে।’ এছাড়াও কেরিয়ারের ওঠাপড়া নিয়ে বলতে গিয়ে ২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনালের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আমিন। উত্তেজক ম্যাচে কোহলি-ধোনির বিরুদ্ধে বল করার বিষয়টিকে অন্যতম কঠিন হিসেবে বিবেচনা করেছেন তিনি।
দিনকয়েক আগে একইভাবে কোহলির স্লেজিং নিয়ে বলতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেন অনুর্ধ্ব-১৯ সময়ের অবতারণা করেন। রুবেলের কথায়, ‘আমরা জানি অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় কোহলি কেমন খারাপ শব্দ প্রয়োগ করত। জাতীয় দলের হয়ে তুলনায় কম স্লেজিং করে ও। তবে মাঠের তার আগ্রাসন যাই হোক। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কসুর করছেন না কোহলি।
করোনায় দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। আর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সবচেয়ে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত মুম্বই পুলিশ। যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। তাই সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে আর্থিক সাহায্য দান করলেন বিরাট ও অনুষ্কা। দু’জনেই ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন বলে শনিবার মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
খবর কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।