ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে যারা থাকছেন

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিযুক্ত নতুন প্রশাসন রূপ নিতে শুরু করেছে। যেখানে প্রস্তাবিত প্রশাসনে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত নিয়োগও রয়েছে।

গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নাম ঘোষণা করেন।

প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন ফক্স নিউজের উপস্থাপক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা পিট হেগসেথকে। আর স্বাস্থ্য সচিবের দায়িত্ব নিতে তিনি রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে মনোনীত করেছেন।

পররাষ্ট্র সচিবের পদে আসছেন রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও। তা ছাড়া, ব্যয়সঙ্কোচনের জন্য টেসলার সিইও এবং ট্রাম্পের বড় সমর্থক ইলন মাস্ক বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি যেসব পদের জন্য নতুনদের নাম দিয়েছেন তা দেখে নেওয়া যাক।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় যারা থাকছেন 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষা সচিব হচ্ছেন পিট হেগসেথ, অ্যাটর্নি জেনারেল হচ্ছেন পাম বন্ডি, অভ্যন্তরীণ বিভাগে থাকছেন ডগ বার্গাম, স্বাস্থ্য ও মানব সেবায় থাকছেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনে থাকছেন ডা. মার্টি ম্যাকারি, ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্সে থাকছেন ডগ কলিন্স, হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে থাকছেন ক্রিস্টি নয়েম।

এ ছাড়া পরিবহণ সচিব হচ্ছেন শন ডাফি, জ্বালানি সচিব হচ্ছেন ক্রিস রাইট, বাণিজ্য সচিব হচ্ছেন হাওয়ার্ড লুটনিক, শিক্ষা সচিব হচ্ছেন লিন্ডা ম্যাকমাহন, ট্রেজারি সেক্রেটারি হচ্ছেন স্কট বেসেন্ট, শ্রম সচিব থাকছেন লরি শ্যাভেজ-ডিরেমার, গৃহায়ন সচিব থাকছেন স্কট টার্নার ও কৃষি সচিব হচ্ছেন ব্রুক রোলিন্স।

মন্ত্রিসভার জন্য মনোনীত এই পদগুলো মার্কিন সেনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। যদি চারজন রিপাবলিকান সিনেটর এবং সব ডেমোক্র্যাট কোনো মনোনয়নের বিরোধিতা করেন, তাহলে সেই মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। তবে টাই হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভোট দিয়ে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারবেন।

অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা থাকবে তাদের সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা থাকছেন

সরকারি দক্ষতা বিভাগে এলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী, সীমান্ত জার হিসেবে থাকছেন টম হোমান, ব্যবস্থাপনা ও বাজেট অফিসে রাসেল ভট, পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রধান হিসেবে থাকছেন লি জেলডিন, জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন এলিস স্টেফানিক।

এ ছাড়া গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তার পরিচালক পদে জন র‍্যাটক্লিফ। তিনি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে থাকছেন তুলসী গ্যাবার্ড, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হচ্ছেন মাইক ওয়াল্টজ, মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত হচ্ছেন স্টিভ উইটকফ, ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন মাইক হাকাবি, ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশেষ দূত হচ্ছেন কিথ কেলগ ও ন্যাটোতে রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ম্যাথিউ হুইটেকার।

সলিসিটর জেনারেল হচ্ছেন ডিন জন সাউয়ার, ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন ব্রেন্ডন কার, মেডিকেয়ার ও মেডিকেড পরিষেবা কেন্দ্রে মেহমেত ওজ, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি হচ্ছেন জেমিসন গ্রিয়ার, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক হচ্ছেন কেভিন হ্যাসেট, মার্কিন নৌবাহিনীর সচিব হচ্ছেন জন ফেলান, জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক হচ্ছেন জয় ভট্টাচার্য ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ওয়ারেন স্টিফেন্স।

এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের স্টাফদের নামও ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রম্প।

যারা আছেন হোয়াইট হাউসে 

চিফ অব স্টাফ – সুসি ওয়াইলস, ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ – স্টিফেন মিলার, হোয়াইট হাউসের আইনজীবী – উইলিয়াম ম্যাকগিনলি, প্রেস সচিব – ক্যারোলিন লিভিট, যোগাযোগ পরিচালক – স্টিভেন চিউং, রাষ্ট্রপতির সহকারী – সার্জিও গোর, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান – কাশ প্যাটেল এবং আরব ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা – মাসাদ বুলোস।