সুপ্রভাত ডেস্ক
ডলার সংকট নিয়ে আলোচনার মধ্যে অক্টোবরের পর সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসেও রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় কমে গেছে। সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি থেকে প্রকাশিত রপ্তানি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার আয় হয়েছে বাংলাদেশের। গত বছরের নভেম্বর মাসে এই আয় ছিল ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। খবর বিডিনিউজ।
এই মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এই হিসাবে লক্ষ্যের চেয়ে ৯ শতাংশ কম আয় হয়েছে দেশের। অক্টোবরেও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সেই মাসে আগে বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০২ কোটি ডলার বা ২৭ শতাংশ। অক্টোবরে ৩৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
তবে অক্টোবর ও নভেম্বরের ধাক্কার পরেও অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে জুলাইয়ে ১৫ শতাংশ, অগাস্টে ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
পোশাক রপ্তানি
দেশের রপ্তানি আয়ে সিংহভাগই নির্ভর করে তৈরি পোশাক খাতের ওপর। টানা দুই মাস এই খাতে আয় কম হওয়ার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক আয়ে।
নভেম্বরে ৪০৫ কোটি ২৫ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের নভেম্বরে ছিল ৪৩৭ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ আয় কমেছে ৩২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার বা ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অক্টোবর মাসেও পোশাক রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। দুই মাসের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পরও চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে পোশাক রপ্তানিতে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে।
পাঁচ মাস শেষে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৮৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। আয় বেশি কমেছে ওভেন পোশাকের। নভেম্বরে এই ধরনের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২৩১ কোটি ২৬ লাখ ডলারের যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। অন্যান্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিও কমেছে। নভেম্বরে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের চেয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ কম। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩৬ কোটি ১৯ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের চেয়ে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।