নিজস্ব প্রতিবেদক »
পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রহিম। ১১ বছরের শিশুটি থাকতো তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান মাজার গেট এলাকায়। ২৯ এপ্রিল শিশু রহিমকে অপহরণ করে তাদের প্রতিবেশী আজম খান। অপহরণের পর আজমকে চিনে ফেলায় শিশু রহিমের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে গাছের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে শিশু রহিমকে। তারপর তাকে পুঁতে দেওয়া হয় একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বুধবার (৩ মে) দিবাগত রাত তিনটার দিকে স্থানীয় গোলাপের দোকান মাজার গেইটে নির্মাণাধীন ভবন থেকে শিশু রহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৯ এপ্রিল বিকেল থেকে শিশু রহিম নিখোঁজ হলে তার পিতা সেলিম উদ্দীন থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়রি করেন। তদন্তের প্রেক্ষিতে বুধবার (৩ মে) আজম খানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শিশু রহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টাকার জন্য প্রতিবেশী আজম খানের নেতৃত্বে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। ওইদিনই শিশুটিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর সেখানে গর্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার দিনেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার পিতা।
তিনি আরও বলেন, শিশু হত্যার অভিযোগে আজম খান ও হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানতে পেরেছি, তারা টাকার জন্য শিশু রহিমকে অপহরণ করে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে শিশুটিকে গাছের টুকরো দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে এবং ওখানে মাটি খুঁড়ে শিশু রহিমকে পুঁতে ফেলে। আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’