সুপ্রভাত ডেস্ক »
ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩৮ যাত্রী নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৭২ জন।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাত ৩টার দিকে এমভি অভিজান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চটিতে প্রায় হাজারখানেক যাত্রী ছিল।
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা ওই লঞ্চ থেকে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন যাত্রীদের অনেকে। স্থানীয়রা ভিড় করেন নদী তীরে।
রাত ৩টা ২৮ মিনিটে এই দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ৩টা ৫০ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ফায়ার সাার্ভিসের ১৫টি ইউনিট এতে অংশ নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
ভোর ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দগ্ধ লঞ্চটি বর্তমানে সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল পাড়ে ভেড়ানো আছে।
কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ৩৮টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
উদ্ধারকৃত যাত্রীদের বরাতে তিনি বলেন, “সুগন্ধা নদীর মাঝামাঝিতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পরে এটিকে নদীর তীরবর্তী দিয়াকুল গ্রামের কাছে নোঙর করা হয়।”
ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানান, ভোররাত ৩টার দিকে লঞ্চের ক্যান্টিন ও ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত।