সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি সততা, নৈতিকতা চর্চার উপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে। প্রতিটি পরিবারে পিতামাতা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের আদর্শ মানুষের রোল মডেল হয়ে থাকতে হবে। শুধু বৈষয়িক শিক্ষা দিয়েই কোন জাতি উন্নত হতে পারে না। বৈষয়িকতার লোভ সামাজিক কাঠামোকে ভঙ্গুর করে তুলছে। ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে আবদ্ধ জীবনের অভিশাপ থেকে শিশু কিশোরদের মুক্ত করতে হবে। চার দেয়ালের মাঝে আবদ্ধ থেকে তাদের মেধার বিকাশ ঘটছে না, বরং মোবাইল ও ইন্টারনেটের আসক্তি শিশু কিশোরদের মানসিকভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে। অতি বস্তুবাদিতা ও ভোগবাদিতার কবলে পড়ে মানুষ তাঁর স্রষ্টাকে চিনতে পারছে না। স্রষ্টাকে চিনতে না পারা মানব জীবনের চরম ব্যর্থতা। মহান আল্লাহকে চিনতে হবে।’
মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী আরও বলেন, ‘জ্ঞানের আলোয় সমাজকে আলোকিত করতে হবে। নৈতিকতার আদর্শে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে হবে। সততা ও নৈতিকতা না থাকলে যতবড় কর্মকর্তা কিংবা চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী হোন না কেন, এতে রাষ্ট্রের সমস্ত অগ্রযাত্রা ও অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের বিজ্ঞান শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনতে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা সংকটের মধ্যেও স্কুল-কলেজ সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুভিবাস ও মিউজিয়াম বাসের প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষাকে জনপ্রিয় করা হচ্ছে। এছাড়া নিয়মিত বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবনী কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির সফলতার জন্য শিক্ষকদের নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে।’
মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী আজ (১২ মার্চ) চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অব.) মো.মইনুল ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক স্কুলের বিজ্ঞানাগারসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং এগুলোর মান উন্নয়ন ও সমৃদ্ধকরনে বিজ্ঞান জাদুঘরের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।