নিজস্ব প্রতিবেদক :
হেফাজতে ইসলামের আমির ও আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারম্নল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফির অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১০৪ বছর বয়সী প্রবীণ এই আলেমের গতকাল রোববার থেকে জ্ঞান ফিরছে না। এ অবস্থায় তাঁর চিকিৎসার অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান রঞ্জন কুমার নাথ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান সুজত পালের নেতৃত্বে এই মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণয় কুমার দত্ত সুপ্রভাতকে জানান, আহমদ শফি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
আইসিইউতে আসার পর তার সেন্স ছিল না। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮৬ এর নিচে নেমে আসে। তবে সোমবার সকাল থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট কমে আসে। কিন’ তাঁর জ্ঞান এখনো ফিরেনি। এটা নিয়েই আমাদের উৎকণ্ঠা। রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে আহমদ শফির হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাটহাজারী থেকে এনে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এর আগে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আহমদ শফি। সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল বিকেলে তাঁর হঠাৎ বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে নগরীর প্রবর্তক মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তিনি ১২ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস’ার উন্নতি হলে ২৬ এপ্রিল তাকে হেলিকপ্টার যোগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়।
১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরে আহমদ শফি আগের মতো আর স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেননি। তাঁকে রাইস টিউব (নাকে নল) দিয়ে শুধু তরল খাবার খাওয়ানো হতো। তিনি ভালোভাবে কথাবার্তা বলতে পারতেন না, হাঁটাচলাও করতে পারতেন না।