নিজস্ব প্রতিবেদক »
জোয়ারের পানিতে এবারও ডুবল দেশের ভোগ্যপণ্যের প্রধান মোকাম নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। প্রতিবছর এ সময়ে কয়েকবার জোয়ারের পানিতে ডুবে এ এলাকা।
গতকাল বুধবার দুপুরে জোয়ারের পানিতে ডুবেছে খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকার অনেক দোকান ও মোকাম। এতে ব্যাহত হয়েছে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা। সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আমিন মার্কেট, সোনামিয়া মার্কেট, চাঁন্দ মিয়া লেন, হামিদুল্লাহ মার্কেট, পোড়াভিটা, চালপট্টি, আছদগঞ্জ, চর চাক্তাই, কোরবানিগঞ্জ, বকসিরহাটসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। এতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ওইসব এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মজুদ রাখা গুদামগুলোতে নষ্ট হয় কিছু পণ্য। জোয়ারের পানির স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৩ ঘন্টা। প্রতিবছরই বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় নগরীর ভোজ্যপণ্যের গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকা।
খাতুনগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিবছর জোয়ারের পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। এখন মালামাল রক্ষার জন্য প্রত্যেক গুদাম ও মাকামের সামনের প্রবেশমুখ উঁচু করা হয়েছে। কিন্তু এতেও অনেক ব্যবসায়ী তাদের মালামাল রক্ষা করতে পারছেন না। চাক্তাই ও রাজাখালী খালে মুখে স্লুইস গেইট দুটি পানি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত নয়। যার ফলে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি সহজে নামতে পারে না।
চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ী মো. ফোরকান বলেন, ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা জোয়ারের পানির স্থায়িত্ব ছিল। এতে চাক্তাইয়ের বেশ কিছু এলাকা ডুবলেও দোকানগুলোর প্রবেশমুখে বাঁধ থাকাতেই ব্যবসায়ীদের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে চার ঘণ্টা ধরে বেচাকেনা বন্ধ ছিল।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী এস এম মহিউদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানির কারণে দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা মালামাল রক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিল। তবে কয়েকজন ব্যবসায়ীর গুদামে পানি ঢুকলে বড় ক্ষতি হয়নি।
খাতুনগঞ্জের আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিবছরই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় খাতুনগঞ্জ। আজ (বুধবার) দুপুরে হঠাৎ জোয়ারের পানি আসায় ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে প্রতিটা দোকানের সামনের প্রবেশমুখ উঁচু থাকাতেই ব্যবসায়ীরা মালামাল রক্ষা করতে পেরেছে। তবে খাতুনগঞ্জের কিছু দোকানে পানি ঢুকে আংশিক মালামাল নষ্ট হয়।
হামিদউল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. ইদ্রিছ বলেন, দুপুরে হঠাৎ জোয়ারের পানি আসাতেই তিন থেকে চার ঘণ্টা ধরে ব্যবসার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে কয়েকজন ব্যবসায়ীর গুদামের মালামাল কিছুটা নষ্ট হলেও অন্যদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।