সুপ্রভাত ডেস্ক »
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ। বিচারপিত মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
এর আগে গতকাল অস্টম দিনের সাক্ষ্যদেন চক্ষু বিজ্ঞান ইনিস্টিউটের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী, একই হাসপাতালের চিকিৎসক জাকিয়া সুলতানা নীলাসহ ৫ জন। তারা জানান, আন্দোলনে আসা রোগীদের ৪৯৩ জন ১ চোখ হারিয়েছেন, ১১ জন ২ চোখ হারিয়ে পুরোপুরি অন্ধত্ব বরণ করেন।
পরে সাক্ষ্য দেন রামপুরায় শহীদ মারুফের বাবা। তিনি বলেন, ১৯ জুলাই তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময় তার এম্বুলেন্স আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ। সেখানে৷ ১৫-২০ মিনিট সময় আটকে রাখা হয়, এক পুলিশ গুলিবিদ্ধ স্থানে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় মারুফের।
স্পতম দিনে গত ২৪ আগস্ট দিয়েছেন রংপুর মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাজিবুল ইসলাম সহ ৩ জন।
গত ২০ আগস্ট ষষ্ঠ দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন চারজন। তারা হলেন— ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না ও শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল। ১৮ আগস্ট পঞ্চম দিনের সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল ও রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।
গত ১৭ আগস্ট চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন— সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম। ৬ আগস্ট প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর চোখ হারানো পারভীন। ৩ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।
এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, কামালসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি। এখন পর্যন্ত এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৪ জন।