সুপ্রভাত ডেস্ক »
জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে সরকারকে পাশে চায় নারী উদ্যোক্তারা স্বাধীনতার এই মাসে জুয়েলারি শিল্পে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জুয়েলারি শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত নারী উদ্যোক্তারা। এজন্য দরকার সরকারের নীতি সহায়তাসহ সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। বাজুস আশা করে জুয়েলারি শিল্পে দিন দিন নারী উদ্যোক্তারা সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এই খাতে উদ্যোক্তা বাড়াতে নারীদের প্রশিক্ষণের আহ্বান জানানো হয়। শুক্রবার বিকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাজুস কার্যালয়ে ‘জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাজুস প্রতিবারের মতো পালন করেছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বক্তারা বলেন, নারীদের প্রতি সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করতে হবে সকল নারীদের। বাজুসের নারী উদ্যোক্তারা আরও বলেন, এই খাতে সমতা নেই। পর্যায়ক্রমে এই সমতা বাস্তবায়ন করতে হবে। নারীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। নারীদের এই খাতে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, নারীর জন্য মা হওয়া কিংবা সন্তান লালন পালন করাটা প্রকৃতির আশীর্বাদ হলেও কর্মজীবী নারীর জন্য তা যেন অভিশাপ। সরকারি কর্মীরা ছয় মাসের ছুটি পেলেও বেসরকারি খাতে চার মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধানও মানা হয় না। উল্টো বাধ্য করা হয় চাকরি ছাড়তে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ নারী কর্মকর্তারাও গর্ভকালীন সময়ে যেন প্রতিষ্ঠানের বোঝা হয়ে উঠেন। যোগ্যতায় পুরুষের সমান হয়েও কর্মস্থলে পিছিয়ে পড়েন নারীরা।