রাঙামাটিতে নারী দিবসের সভায় সন্তু লারমা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি <<
‘অনেক আশাÑভরসা নিয়ে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু গত ২৩ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়নের গতি দেখে হতাশ। চুক্তির পর জুম্ম জনগণের জীবনমান উন্নয়নের অনেক আশা থাকলেও বর্তমানে অস্তিত্ব সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’
গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও পাহাড়ি নারীদের রাজনৈতিক সংগঠন ‘হিল উইমেন্স ফেডারেশন’ এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর যৌথ উদ্যোগে রাঙামাটি জেলা শহরে অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু)’ এ কথা জানান।
পাহাড়ের নারীদের, নারী অধিকার রক্ষার পাশাপাশি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্্যাপন করা হবে দেশে। এই ৫০ বছরে অস্তিত্ব হারাতে হারাতে আজ সর্বশান্ত। চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা আরও বাড়ছে। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলে শুধু জুম্ম নারী ও পুরুষ সকল ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা চলছে, যার দ্বারা এখানকার জুম্ম নারীরা শোষণের স্বীকার হচ্ছে।
‘করোনাকালে সমভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠায় নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করি, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করি’ এই শ্লোগানে আয়োজিত এ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে টিআইবি’র ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট সুষ্মিতা চাকমা, অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নান্টু ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি রিনা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।