আসন্ন জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নিকট কার্বন নির্গমন কমানোর দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আইএসডিই-বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্ম জোট ও উপকূলীয় জীবন যাত্রা ও পরিবেশ কর্ম জোট এর যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। প্রতীকী এ গণফাঁসির কর্মসূচিতে যোগদেন শতাধিক তরুণসহ স্থানীয় জনসাধারণ।
প্রতীকী কর্মসূচিতে আইএসডিই-বাংলাদেশের নির্বাহীপরিচালক ও কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, ইতোমধ্যে বায়ুম-লে কার্বনের ঘনত্ব¡ পৃথিবীর সহনক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে। একারণে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হারে জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় পাঁচলাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে অসহায় মৃত্যুর শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে ক্লিন-এর প্রধাননির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইপিসিসি সতর্ক করে দিয়েছে যে, জলবায়ু দুর্যোগ ঠেকানোর সর্বশেষ সুযোগ দ্রুতশেষ হয়ে যাচ্ছে। এখনই কার্বন নির্গমন কমানোর উদ্যোগ না নিতে পারলে একুশ শতকের শেষ নাগাদ মানব সভ্যতা রক্ষাকরা যাবে না।
প্রতীকী কর্মসূচিতে বক্তারা অবিলম্বে কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করা, উন্নত বিশ্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিবছর ১০০বিলিয়ন ডলার ক্ষতি পূরণ নিশ্চিত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালা নিনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে সহায়তাকরা, ২০৫০সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সমাবেশ ও উদ্বাস্তু যাত্রায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুহ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নবীউল আলম, প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী জসিমুল হক, আইএসড্ইি কর্মসূচি কর্মকতা উম্মে রুমানা রুমি, রুহিমা বেগম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি