শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের ন্যায় জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বাজারও প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে এবং এক্ষেত্রে নরওয়ে আমাদের কর্মীদের আরো প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করবে বলে আশ^স্ত করেছে। আগামী ২ থেকে ৩ বছর যদি আমরা কাজ করে যাই, ভবিষ্যতে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাংলাদেশ বিশ^ বাজারে ভালো অবস্থান করে নিতে পারবে।
তিনি গতকাল নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন। সীতাকু- শিপইয়ার্ডে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাহাজ পুনঃনির্মাণ শিল্প পরিদর্শনের জন্য জাপান ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে এসেছেন। এ শিল্পে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। অন্যান্য শিল্পের ন্যায় এ শিল্পের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এ শিল্পের উন্নতি নির্ভর করে এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির উপর।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকারী দেশ। বাংলাদেশে ১৬৭টি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ইয়ার্ড রয়েছে যা চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলায় অবস্থিত। এখানে বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও অধিক। বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ। দেশের সামগ্রিক আয়রন চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আসে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ হতে। এ খাত থেকে আয় হয় ৮ শত মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং সরকারের রাজস্ব আয় হয় ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ডলার। এ শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ নিয়োজিত। পরোক্ষভাবে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। এ শিল্পের উপর ৩ শতের অধিক রি-রোলিং স্টিল মিল নির্ভরশীল। দেশের সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নে এ শিল্প ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসবিআরবি এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) প্রকৌশলী শেখ ফয়েজুল আমীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কামাল পাশা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং শিপ ব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি