চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছা ও প্রণোদনায় নগরীর পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য বাসযোগ্য অত্যাধুনিক আবাসন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ সমাজের কর্মজীবী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের মৌলিক অধিকার পূরণের একটি ভিত্তি সোপান।
তিনি বলেন, সেবকদের যেভাবে মানুষ হিসেবে দেখা উচিত সে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয় না। যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সেবকরাও মানুষ। দু’বছর অভিরাম চেষ্টার ফলে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অর্থ বরাদ্দ একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
তিনি গতকাল নগরীর ২১ নম্বর জামাল খান ওয়ার্ডের চসিকের নিজস্ব জায়গায় ঝাউতলা সেবক কলোনীতে ১৪ তলা বিশিষ্ট ২টি ভবন পরিচ্ছন্ন কর্মিনিবাস উদ্বোধনকালে একথাগুলো বলেন।
৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২২ হাজার বর্গমিটারের এই ভবনগুলোতে ৩৮৯ টি পরিবারের বাসস্থান হবে। প্রতিটি ফ্লাটের আয়তন (কমন স্পেইসসহ) ৬০২ বর্গফুট। এছাড়াও প্রতিটি ভবনে এই আয়তনের মধ্যে দু’টি বেড রুম, ড্রইং কাম ডাইনিং স্পেশ, কিচেন ও ওয়াসরুম থাকবে।
প্রতিটি ভবনের নিচতলায় স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, কিডস জোন, উপাসনালয়, ২টি লিফট, ৪০০ কেভি জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ও অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সরঞ্জাম থাকবে।
জামাল খান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. ইমতিয়াজ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, সহকারী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, গোলাম আফজাল, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্যপরিষদের সভাপতি বিষ্ণু লাল, প্রধান সর্দ্দার রাম গোলাম, হরিজন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বাদল চন্দ্র দাশ, যুবনেতা হুমায়ুন কবির মাসুদ, ইকবাল আহমেদ ইমুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে ফ্লাট বুঝিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মেয়র। বিজ্ঞপ্তি
স্বদেশ