সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
বার্সেলোনার সর্বশেষ সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ থাকাকালীন সময় থেকেই শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জন। তবে এটি এখন গুঞ্জন নয়, বাস্তব। প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। এমনকি খেলোয়াড়দের জানুয়ারি মাসের বেতনও দেয়ার মতো টাকা নেই তাদের!
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্তোমেউ সভাপতি থাকতে ক্লাবটির বিশৃঙ্খল আর্থিক নীতি এর কারণ। গত আগস্টে লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন। সেসময় তাকে বিক্রি করে দিলে ক্লাবের অবস্থা এমন হতো না বলে দাবি করেছেন বার্সার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কার্লেস তুসকেতস।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কোয়াড বার্সেলোনার। কিন্তু করোনা মহামারির মাঝে ক্লাবের আয়ের পথ প্রায় রুদ্ধ হওয়ার পথে। এ কারণেই বিপাকে পড়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়ে তুসকেতস বলেন, আমাদের দেউলিয়াত্ব এখন এতটাই যে জানুয়ারিতে সবার বেতন দেয়ার সামর্থ্য নাও হতে পারে।
৩৩ বছর বয়সী মেসির সঙ্গে বার্সার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ এ মৌসুম শেষে ফুরাবে। তারপর তিনি বার্সা ছাড়তে চাইলে ক্লাবেরই অনেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। কারণ আর্জেন্টাইন তারকা না থাকলে তার বড় অংকের বেতন দেয়া থেকে রেহাই পাবে বার্সা।
কিন্তু মেসি থেকে যেতে চাইলে বার্সার বিপদ আরো বাড়বে। কারণ বর্তমান চুক্তি অনুসারেই বছরে তার ১০ কোটি ইউরো বেতন পরিশোধ করা বার্সার জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে স্প্যানিশ রেডিও ‘আরএসি’কে তুসকেতস বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেখলে গত মৌসুম শেষেই আমি মেসিকে বেচে দিতাম। আমাদের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই কাম্য। আমরা এমন অবস্থার মধ্যে আছি যে জানুয়ারিতে বেতন দিতে পারব না। ঋণ ও মজুরি বেড়ে যাওয়ার কথা খেলোয়াড়দের জানিয়েছি। কোভিড-১৯ আসার আগে তো কেউ জানত না এমন হবে।
অবশ্য এসবের মাঝেও মেসিকে ধরে রাখার কথা বলে যাচ্ছে বার্সা। এমনকি বার্সার সভাপতি পদপ্রার্থী হুয়ান লাপোর্তা পর্যন্ত আর্জেন্টাইন তারকাকে ধরে রাখতে চান। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে তিনি বলেছেন, মেসি বার্সাকে চায়। এখানে আমরা তার সুখ ফিরিয়ে দিতে চাই। এটা টাকার প্রশ্ন নয়, ভালো দল গড়ার প্রশ্ন। জেতাটা তার অভ্যাস, তাই সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অন্য দলের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় দেখতে পারে না। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা