বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কারখানা, ক্রেতারা অর্ডার বাতিল / স্থগিত করেছেন। পোশাক শিল্পের ভবিষ্যত সুরক্ষা ও শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করায় পোশাক শিল্প বর্তমানে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষিতে বিগত ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৭%। চট্টগ্রামে বন্দর এবং কাস্টমস্ সুবিধায় তুলনামূলক ভাবে খরচ কম হলেও অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প বর্তমানে খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে মিরসরাই ও আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলি টানেলসহ বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা-ের ধারাবাহিকতায় বিদেশি বিনিয়োগসহ নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। এ’ক্ষেত্রে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক কার্যক্রম সহজীকরণ পূর্বক বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার নব-নিযুক্ত কাস্টমস্ বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর কমিশনার এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমানের সাথে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম। কাস্টমস্্ বন্ড কমিশনারেট, চট্টগ্রামের কমিশনার এ.কে.এম. মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, দেশীয় শিল্প হিসাবে পোশাক শিল্পে বর্তমান মন্দাবস্থা উত্তরণে বন্ড কমিশনারেট ও বিজিএমইএ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। এছাড়া পোশাক শিল্পের বন্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজীকরণ পূর্বক দ্রুত অনুমোদন প্রদান করাসহ পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বিরাজমান সমস্যা সমূহ দ্রুত সমাধান করা হবে।
সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এ.এম. চৌধুরী সেলিম, পরিচালকবৃন্দ অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুসা, এনামুল আজিজ চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক ও কাস্টম বিষয়ক স্থায়ী কমিটি চেয়ারম্যান এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, কাস্টমস্্ বন্ড কমিশনারেট এর পক্ষে অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজুল হক ভূঁইয়া ও সহকারী কমিশনার সন্তোষ সরেণ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর