নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাগর থেকে আসা জোয়ারের পানি ঠেকাতে রেগুলেটরের বিকল্প নেই। আর তা থেকে মুক্তি পেতে কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষে ৪০টি রেগুলেটর নির্মিত হবে। কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দুই খালে রেগুলেটর নির্মাণে ধীরগতি। আর এতে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়ত। তবে আগামী বর্ষার আগেই এর সুফল পাওয়া যাবে বলে প্রকল্প কর্মকর্তা জানান।
গত সোমবার চাক্তাই ও রাজাখালি খাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজাখালি খালের নিচের অংশ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে থাকলেও চাক্তাই খালে রেগুলেটর নির্মাণে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। দুই খালের কাজ একইসময়ে শুরু হলেও অগ্রগতিতে পিছিয়ে কেন জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পরিচালক রাজীব দাশ বলেন, ‘করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবে এগিয়ে নিতে পারিনি। পরবর্তীতে সরকারের কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দেও পিছিয়ে ছিলাম। তবে এখন পুরোদমে কাজ চলছে।’
কিন্তু রাজাখালী খালের নিচের অংশের কাজ হয়ে গেলেও চাক্তাই খালের কাজ পিছিয়ে রয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজাখালী খালে পুরো খালের পানি ডাইভারশান করে কাজ করছি। এতে কাজ দ্রুত হয়েছে। বর্ষার পর চাক্তাই খালেও একই পদ্ধতিতে কাজ করা হবে। আর তা করা গেলে কাজ এগিয়ে যাবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী বর্ষার আগে হয়তো রেগুলেটর নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারবো।
এদিকে জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত জলমগ্ন হচ্ছে চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ এলাকা। এবিষয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সেনাবাহিনীর নিয়োজিত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী বলেন, ‘এই দুটি খালে রেগুলেটর নির্মিত হচ্ছে সিডিএ’র অপর একটি প্রকল্পের আওতায়। তবে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পানি সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু ড্রেন নির্মাণ করছি। যাতে পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে। এছাড়া আমাদের প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন রেগুলেটরগুলোর নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলছে।’
উল্লেখ্য, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মোট ৪০টি রেগুলেটর নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৫টি রেগুলেটর নির্মিত হবে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতায়। ১২টি রেগুলেটর নির্মিত হবে সিডিএ’র চাক্তাই টু কালুরঘাট রোড নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এবং ৩৩টি রেগুলেটর নির্মিত হবে পানি উন্নয়নবোর্ডের পতেঙ্গা থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত রেগুলেটর ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। এরমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি।