সুপ্রভাত ডেস্ক »
টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হলো আজ শুক্রবার প্রায় জনশূণ্য স্টেডিয়ামে। এক বছর স্থগিত থাকার পর নানা বিতর্কের মধ্যে এই অলিম্পিক শুরু হলো।
দর্শকদের অনুপস্থিতিতে কেবল মাত্র কয়েক শ’ গণমান্য ব্যক্তির সামনে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে । বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
এবার, টোকিও অলিম্পিক কোভিড মহামারির কারণে খুব জটিল হয়ে উঠেছে। অন্যান্য কারণেও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আয়োজকদের। জনমত জরিপগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে জাপানের অধিকাংশ নাগরিক চাইছেন না মহামারির মাঝে এই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হোক।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান বৃহস্পতিবার সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে দেশে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আয়োজকরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। আয়োজকরা দর্শকদের উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
সম্রাট নারুহিতো টোকিওর অলিম্পিকের উদ্বোধনী ঘোষণার আগে সেই ১৯৬৪ সালে তাঁর দাদা সম্রাট হিরোহিতো সর্বশেষ টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী ঘোষণা করেছিলেন। তখন জাপানের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার অর্থনীতির এক নতুন শক্তি হিসেবে কাজ করেছিলো এই অলিম্পিক গেমস।
সাম্প্রতিক কোন অলিম্পিকস নিয়ে এতটা বিতর্ক আর কখনই হয়নি। গত বছর করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে টোকিও অলিম্পিকস স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখনও টোকিওতে জরুরি অবস্থার মধ্যেই এই বিশ্ব প্রতিযোগিতা চলবে। কারণ জাপানে করোনার সংক্রমণ এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তাই প্রায় কোন ইভেন্টেই দর্শক থাকতে পারবে না। কারণ এই ধরনের অনুষ্ঠানের পর সংক্রমণের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
কিন্তু আয়োজকরা আশা করছেন, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর যখন বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা শুরু হবে তখন এবারের অলিম্পিকস নিয়ে সমালোচনাগুলো কমে আসবে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিকস কমিটির সভাপতি টমাস বাখ বলছেন, স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুভূতি হবে আনন্দের এবং স্বস্তির।
সূত্র : ভিওএ ও বিবিসি