ছড়া ও কবিতা

ফুলের মালা

সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার

সূর্য যখন ওঠে
ফুলকলিরা ফোটে
প্রজাপতি নেচে নেচে
ফুলের কাছে জোটে।

সূর্য যখন ডোবে
কি জানি কী লোভে
জোনাকিরা উড়ে এসে
ফুলের শরীর ছোঁবে।

কোমল মাটির ‘পরে
ফুলরা পড়ে ঝরে
ঝরা ফুলের মালা গাঁথি
মাদুর পেতে ঘরে।

সাজবো আমি পল্লীবালা
গলায় পরে ফুলের মালা।

 

ফুলের নামে নাম

আলমগীর কবির

আমার ছোট বোন আছে তার
ফুলের নামে নাম,
বোনের কথা লিখব বলে
খাতাটি খুললাম।
বোনটি যেন চাঁদের পাশে
তারা ঝলমল,

হাসি দেখে মন আমার হয়
খুশিতে টলমল!
নেই ইশকুল সকাল বিকাল
দোলনাতে খায় দোল,

আমার খেলনা দখল করে
লুকায় মায়ের কোল!
খাতা কলম রংপেনসিল
তার দখলে সব,
আদর মাখা তার সীমানা
দুরন্ত শৈশব!

 

ফলবান জৈষ্ঠ্য

শ্যামল বণিক অঞ্জন

ফলবান জৈষ্ঠ্য দোলা দেয় প্রাণে
বিমোহিত হয় মন কাঁঠালের ঘ্রাণে!
টসটসে ভরা রসে কতো কতো ফল
কালো কালো পাঁকা জাম জিভে আনে জল!
ল্যাংড়া, গোপালভোগ আরো কতো নাম
বাজারটা ছেয়ে গেছে নানাবিধ আম!
আম, লিচু, তরমুজ মৌসুমি ফল
দেহে যোগায় ভিটামিন পুষ্টি ও বল!

 

তোমার চাঁদ আমার চাঁদ

মাসুম মোরশেদ

ছাদে চড়ে চাঁদ দেখা যায়
ভাল্লাগে না চাঁদ
নিয়ন আলো কেড়ে নিছে
চাঁদেরও আল্লাদ।

কড়া আলোর শহুরে চাঁদ
দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়
গ্রামের চাঁদ আমার সাথে
ঠিক চলে ডান-বাঁয়।

পাকা বাড়ি মোজাইক ঘর
চাঁদের আলো নাই
বাঁশের বেড়ায় আলোর খেলা
সুখের রোশনাই।