সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরা রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের মাঠে চিরচেনা রূপে ধরা দেবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে উল্টো রাজত্ব করলো লাইপজিগ। তাতে অবশ্য কাজ হলো না। তাদের আক্রমণের ঢেউ সামলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগ ১-১ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ করলো কার্লো আনচেলত্তির দল। খবর রাইজিংবিডি।
এর আগে প্রথম লেগে লাইপজিগের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল রিয়াল। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে তারা।
বুধবার (৬ মার্চ) রিয়ালের ঘরের মাঠে প্রথম আক্রমণটা করে লাইপজিগ। দশম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে সবাইকে পেছনে ফেলে রিয়ালের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বেনিয়ামিন সিসকো। তবে অফসাইডে থাকায় সেই আক্রমণ থেকে নিজেক সরিয়ে নেন লাইপজিগ ফরোয়ার্ড।
এরপর দুই দল মাঠে বল দখলের লড়াই করলেও আক্রমণ ভাগ ছিল নিস্তেজ। রিয়ালের আক্রমণ তারকাদের এদিন খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রতে।
বিরতির পর খেলা শুরু হতেই বিপদে পড়তে বসেছিল রিয়াল। প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণ রুখতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান লুনিন, কিন্তু প্রথম চেষ্টায় বল তো ধরতেই পারেননি, উল্টো বেরিয়ে যান বক্সের বাইরে। ভাগ্য ভালো, ওপেনদাও পারেননি বল নিয়ন্ত্রণে নিতে।
এরপর ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যেতে থাকে মাদ্রিদের দলটি। তাতে ৬৩তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে পারে তারা, তবে রদ্রিগোর সেই প্রচেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন লাইপজিগ গোলরক্ষক।
এর দুই মিনিট পরেই ভিনিসিউসের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। জুড বেলিংহ্যামের বক্সে বাড়ানো বল ছুটে গিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে জালে পাঠান ভিনিসিউস। আর তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এর তিন মিনিট পরই রিয়ালের স্বস্তি কেড়ে নেয় লাইপজিগ। ৬৭তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে দারুণ হেডে ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১ করেন লাইপজিগ ডিফেন্ডার অরবান। গোল পেয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে সফরকারীরা। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। তবে আর গোল হয়নি। তাতে হাফ ছেড়ে বাঁচে রিয়াল।