সুপ্রভাত ডেস্ক :
নতুন করে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় চীনের উহানের ১ কোটি ৪০ লাখ বাসিন্দার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, মঙ্গলবার উহানের কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ সদর দপ্তর থেকে প্রত্যেক জেলা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব বাসিন্দার নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট (ন্যাট) কীভাবে সম্পন্ন হবে সে ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, উহানের স্থায়ী ও অস্থায়ী সব বাসিন্দাদেরই পরীক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। বিশেষত আবাসিক এলাকা ও ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের দিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
গত ৩ এপ্রিলের পর উহানে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। টানা ৩৭ দিন পর গত সপ্তাহে নতুন ছয় করোনা আক্রান্ত শনাক্তের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে উহান কর্তৃপক্ষ।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে প্রথম যাকে শনাক্ত করা হয়েছে তিনি সানমিন নামের এক আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তার বয়স ৮৯ বছর। জানা গেছে, মার্চের শুরুতেই তার দেহে করোনাভাইরাসের হালকা উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু, গত শনিবার তার করোনা শনাক্ত হয়। তাকে শনাক্ত করার পর ওই আবাসিক এলাকা ও তার আশেপাশের অঞ্চলের ৫ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করে আরও ৫ জনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে উহান কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চীনা অধ্যাপক ও মহামারি বিশেষজ্ঞ জানান, নতুন পর্যায়ে সংক্রমণ এড়াতে গণহারে পরীক্ষা করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘উহানের নতুন রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে যে, হালকা উপসর্গ বা উপসর্গহীন বাহকই দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ক্ষেত্রে মূল ঝুঁকি।’
গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত উহানের প্রায় ১০ লাখ মানুষের নিউক্লিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানায় উহানের নগর স্বাস্থ্য কমিশন।
গত ডিসেম্বর মাসে চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত এ শহরে ৫০ হাজার ৩৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৬৯ জন। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত শহরটি লকডাউনে ছিল। উহানের অধিকাংশ বাসিন্দাই সেসময় নির্দেশনা মেনে বাড়িতে ছিলেন।