সুপ্রভাত ডেস্ক
ন্যাটোর বৈঠকে রাশিয়া এবং চীন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলো। ৩০ দেশের বৈঠকের শেষে বক্তৃতা করেন ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ। সেখানে চীন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে রীতিমতো সরব হন তিনি। একই সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং ইরান নীতি নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
৩০ দেশের বৈঠকে এ দিন যে ৭৯টি পয়েন্টে আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চীন গ্লোবাল রিস্ক বা সংকট তৈরি করছে। কারণ অন্য দেশের সঙ্গে কোনোরকম সমঝোতায় যেতে চাইছে না চীনের একনায়কতান্ত্রিক সরকার। এই প্রথম ন্যাটোর বৈঠকে চীনকে এ ভাবে সরাসরি আক্রমণ করা হলো।
তবে শুধু চীন নয়, রাশিয়াকেও একই ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। রাশিয়ার আক্রমণাত্মক মনোভাবের সমালোচনা করেছে দেশগুলি। তবে চীনের বিরুদ্ধে ন্যাটো যতটা সরব ছিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঠিক ততটা সরব হয়নি। জেনস স্টোলটেনবার্গ তার বক্তৃতায় বলেন, ‘ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাকে চীনের বিরুদ্ধে সরব হতেই হবে। চীনের একনায়কতান্ত্রিক সরকার যে ভাবে চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’
কেন চীনকে নিয়ে এত চিন্তা
চীন যে ভাবে পরমাণু শক্তি বাড়াচ্ছে এবং যে ভাবে চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে চিন্তিত ন্যাটো। শুধু তাই নয়, চীন যে ভাবে প্রকাশ্যে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির নীতি ঘোষণা করেছে, তা নিয়েও চিন্তিত ন্যাটো। তাদের ধারণা, রাশিয়াকে পাশে নিয়ে এশিয়া প্যাসিফিকে চীন দাদাগিরি করতে চাইছে।
প্রস্তাবে চীনের বিরুদ্ধে সকলে সরব হলেও স্টোলটেনবার্গ একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কোনো ভাবেই নতুন ঠান্ডা যুদ্ধে নামতে চায় না ন্যাটো। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কথাতে সে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে। ম্যার্কেল বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে, কিন্তু ভারসাম্য রেখে চীনকে আক্রমণ করতে হবে। নইলে বিপদ বাড়বে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে
রাশিয়াকেও সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেও এই বিষয়গুলি উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে